ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে: ১৪ দল

বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে অভিযোগ করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি দাবি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট।

শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাথে বৈঠক করে এই অভিযোগ জানান। বৈঠকে নির্বাচন কশিমনার রফিকুল ইসলাম ও ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে সংবাদিকদের দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘এক ঢিলে দুই পাখি শিকারের চেষ্টা করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তারা একদিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, আবার প্রতিদিন নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে মনগড়া ও বানোয়াট অভিযোগ করে সংশ্লিষ্টদের মনোবল ভেঙে দেয়ার অপচেষ্টা করছে। তারা যাতে নিরপেক্ষভাবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে না পারে।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রতিনিয়ত নির্বাচনী আইন ও আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে বক্তব্য রাখছে অথচ ঐক্যফ্রন্টের চেয়ারম্যান ড. কামাল হোসেন একজন আইনজ্ঞ হয়েও এ বিষয়ে কিছুই বলছেন না। বিএনপি যে দাবিগুলো উত্থাপন করছে সেগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।’

দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ অস্থিতিশীল করে তারা তাদের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। নির্বাচনের পরে যাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর কোন ধরনের নির্যাতন না হয় এবং নির্বাচনে তারা যাতে নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তা নিশ্চিতের আহবান জানিয়েছি।’

বিএনপি মহাসচিব কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণের কথা বলে নির্বাচনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি ।

প্রশাসনের রদবদল সম্পর্কিত বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া বিএনপির কথামতো যেন এ ধরনের রদবদল করা না হয়।’

কমিশনকে দেয়া চিঠিতে তারা বলেন, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বানচালের অংশ হিসেবেই প্রতিদিন অসত্য ও মনগড়া অভিযোগ ইসিতে নিয়ে আসছে বলে দাবি করেছে ১৪ দলীয় জোট।

চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক দল ও জোটকে সংবিধাসেনর প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আইন বহিঃর্ভূত কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য কর্তব্য। অথচ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন একজন দণ্ডিত ও পলাতক আসামি হওয়ার পরও তিনি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ী দণ্ডপ্রাপ্ত কোন আসামি জাতীয় সংসদের সদস্য পদ প্রার্থীদের বাছাই করতে পারেন না। এ ধরনের কর্মকান্ড সংবিধানের প্রতি চরম অবমাননা এবং রাষ্ট্রীয় বিধিবিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থি। তারেক রহমানের এ ধরনের বেআইনী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইসির প্রতি জোর দাবি জানায়।