আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ। কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের তিনবারের এই সংসদ সদস্য দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ অবস্থায় তিনি যদি প্রার্থী হতে না পারেন তাহলে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকার হাল কে ধরবেন, তা নিয়ে নতুন করে শোনা যাচ্ছিল নানামুখী আলোচনা।
এমতাবস্থায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কিশোরগঞ্জ-১ আসনে দুই জন পেয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের মনোনয়ন। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন সৈয়দ আশরাফের পাশাপাশি কৃষিবিদ মশিউর রহমান হুমায়ুনকেও রাখা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, সৈয়দ আশরাফ যদি নির্বাচন করতে না পারেন, তাহলে হুমায়ুন লড়বেন নৌকা প্রতীক নিয়ে।
মশিউর রহমান হুমায়ুন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের সবার আবেগের জায়গা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি যদি নির্বাচন করতে পারেন, তাহলে আমরা সবাই তার হয়ে নির্বাচন করব। আর যদি কোনো কারণে তিনি করতে না পারেন, তাহলে আমিই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব।’.
হুমায়ুন আরও বলেন, ‘দীর্ঘ রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় এটাকে একটি প্রাপ্তি হিসেবেই মনে করছি। মহান আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া জানাই। সেই সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকেও জানাই কৃতজ্ঞতা। সবার কাছে দোয়া চাই। এলাকাবাসীর কাছে অঙ্গীকার করছি, আমাকে আপনারা সব সময় কাছে পাবেন। আপনাদের প্রত্যাশা পূরণে সর্বাত্মক চেষ্টা করব।’
কিশোরগঞ্জ সদর এবং হোসেনপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনটি। সৈয়দ আশরাফের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদরে আর হুমায়ুনের বাড়ি হোসেনপুরে। ২০০৮ সালে সীমানা পুনর্গঠনের পর এই প্রথম হোসেনপুর থেকে কারও প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
জাতীয় চার নেতার একজন সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফ ১৯৯৬ সাল থেকেই কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ে আসছিলেন। সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালনের পর তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক হন। তবে ২০১৬ সালে দলের সম্মেলনে এই পদ ছেড়ে দেন তিনি।
আশরাফ বর্তমানে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থা সঙ্গীন বলে জানিয়েছেন তার ভাই সৈয়দ শাফায়েতুল ইসলাম। তিনি নিজে এবং আরেক ভাই সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলামও চেয়েছিলেন নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন।