জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরীক ড. কামাল হোসেনের গণফোরামে যোগ দিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ। সোমবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে আরামবাগে গণফোরামের কার্যালয়ে গিয়ে তিনি দলটিতে যোগ দেন। এসময় তিনি গণফোরামের নির্দিষ্ট ফরম পূরণ করে সদস্য হন।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন গণফোরামের প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক। তিনি জানান, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঙ্গে দেখা করে আবু সাইয়িদ গণফোরামে যোগ দেন। এসময় দলের দফতর সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুকও উপস্থিত ছিলেন।
পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়ার একাংশ) আসনের আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন তিনি। দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। কিন্তু গতকাল রবিবার (২৫ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চিঠি দেয়া হয় বর্তমান সংসদ সদস্য ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকুকে।
১৯৯৬ সালে জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীকে হারিয়ে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের তৎকালীন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবু সাইয়িদ। সেসময় আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে আবু সাইয়িদ ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তথ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ১/১১’র পর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতি থেকে ছিটকে পড়েন আওয়ামী লীগের সাবেক এই তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। এই সংস্কারপন্থি নেতা ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। ওই নির্বাচনে শামসুল হক টুকুর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান তিনি।
আবু সাইয়িদ ১৯৭০ সালে তৎকালীন পাকিস্তান ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য ছিলেন। ১৯৭২ সালে গঠিত ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭৫ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক পাবনা জেলার গভর্নর নিযুক্ত হন। তিনি সামরিক শাসকের একজন কঠোর সমালোচক ছিলেন। ২০১৩ সালে আবু সাইয়িদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার পিএইচডি গবেষণার বিষয় ছিল ‘ইন্ডিপেন্ডেন্স অব বাংলাদেশ: এ ডিপ্লোমেটিক ওয়ার’।
সম্প্রতি গণফোরামে যোগ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত শাহ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া, সাবেক জেনারেল (অব.) আনসা আমিন, সেনা ও বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ১০ কর্মকর্তা এবং একুশে টেলিভিশনের সাবেক মালিক আবদুস সালাম গণফোরামে যোগ দিয়েছেন।
এছাড়াও মুক্তিযুদ্ধের উপ-সর্বাধিনায়ক (ডেপুটি চিফ অব স্টাফ), পাবনা-২ আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকারের যোগ দেয়ার কথা ছিল কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি যোগ দেননি।