কৌশলগত কারণে আপাতত জোটগতভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে না। বললেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ২৩১টি মনোনয়নের চিঠি দেয়া হয়েছে। তবে কেউ বিদ্রোহ করলে তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি ইলেকশনে জেতার জন্য নির্বাচন করছি। অ্যা ডেমোক্রেসি ইজ অ্যা নাম্বারস গেম। এটা মনে রাখতে হবে এটা নাম্বারের লড়াই। কে কত সিট পাবে দেখতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মনোনয়নের নামে বানরের পিঠা ভাগ করে তো লাভ নেই। ইলেকটেবল, উইনেবল যারা প্রার্থিতার জন্য আবেদন করেছেন তারাই মনোনয়ন পাবেন। আমি একজন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেব, তিনি ইলেকটেবল না, তিনি উইনেবল নয় এতে আমার লাভ কই।
কাদের বলেন, মিডিয়ায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নাম ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয়ার আগে তালিকা না প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এখন
যাচাই-বাছাই করে শরিকদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে। মনোনয়ন দেয়া মানে চূড়ান্ত না, মনোনয়ন দেয়ার পর মাঠে আবার জরিপ করা হবে। তারপর যাকে মনোনয়ন দেয়া হবে তাকে প্রার্থী চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করা হবে।
তিনি বলেন, মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে ঋণখেলাপীদের বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। মনোনয়নের নামে পিঠা ভাগ করা যাবে না। তবে একটি প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন চায় আওয়ামী লীগ।
মনোনয়ন না পেয়ে অনেক আওয়ামী নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী বা ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে দু’একজন বেরিয়ে গেলে কিছু যায় আসে না। শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা আওয়ামী লীগের নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে। বিদ্রোহ মানে বহিষ্কার। চিরস্থায়ীভাবে বহিষ্কার।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বৈ কমেনি। জনপ্রিয়তায় আমরা দিনে দিনে এগিয়ে আছি। জনপ্রিয়তায় আমাদের নেত্রী আমাদের অ্যাসেট। যার সততা ও পরিশ্রমী নেতৃত্ব সারা দেশে সমাদৃত ও বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনায় জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ।