দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কোনও আসামি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না মর্মে উচ্চ আদালতের দেয়া রায়কে ‘অগ্রহণযোগ্য ও সরকারের ইচ্ছের প্রতিফলন’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রায়ের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘এ রায় সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন।’
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপাসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদেরর তিনি এ কথা বলেন।
এদিকে দুই মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাঁকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই সরকারের ইচ্ছায় আদালত এ রায় দিয়েছে বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্টকে প্রতিহত করার জন্যই সরকারের ইচ্ছায় এ রায় দেয়া হয়েছে।’
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা আরও অভিযোগ করে বলেন, ‘এই মুহূর্তে এই রায় জনগণের মাঝে প্রশ্নের উদ্রে করবে। জনগণ এ রায় মানবে না।’
বিচারিক আদালতে দুই বছরের বেশি সাজা হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সাজা স্থগিত ও জামিন দিলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ পর্যেবেক্ষণে এ রায় দেন।
উল্লেখ্য, বিএনপির চেয়ারপারসন দুটি দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত, সাজা ভোগ বাতিল ও জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
তবে অতীতেও বিচারিক আদালতে দণ্ডিত হওয়ার পর আপিল করে সংসদ সদস্য পদ বহাল থাকার নজির আছে। দুর্নীতির মামলায় ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার একটি আদালত ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরীকে ১৩ বছর কারাদণ্ড দেন। আর সম্পদের তথ্য গোপনের মামলায় ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর সরকারদলীয় সংসদ আবদুর রহমান বদির তিন বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।