ড. কামাল হোসেন এবং সুশীল সমাজের কিছু সদস্যের বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে হাত মেলানোর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নেতৃত্বের অধীনে চলে গেছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সশস্ত্র বাহিনীর দেড় শতাধিক সাবেক কর্মকর্তার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ড. কামাল হোসেন সাহেবসহ যে সুশীল বাবুরা এক জায়গায় হয়ে গেছেন, সবাই অনেক নীতির কথা বলে, তাদের সেই নীতি কোথায় গেল? কার অধীনে আজকে তারা মনোনয়ন নিচ্ছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা আমাকে দুর্নীতিবাজ বলে বক্তৃতা দিয়েছে, তারা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কথা বলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে, আজকে সব ভিড়েছে গিয়ে কোথায়? গণতন্ত্র রক্ষা করতে, গণতন্ত্রের অভাব কোথায়?
তিনি বলেন, যারা জাতির পিতার হত্যাকারী তাদের পুরস্কৃত করা, যারা সামরিক শাসন জারি করে মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে নির্বাচনকে পর্যন্ত
কলুষিত করেছিল তাদের সাথে হাত মিলিয়ে কোন গণতন্ত্র তারা আনতে চায়, সেটা একটা প্রশ্ন আমার তাদের কাছে।
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে নৌকার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের লক্ষ্যে দেড় শতাধিক সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আব্দুল ওয়াদুদ, রিয়ার এডমিরাল (অব.) হারুনুর রশীদ, এয়ার কমোডর (অব.) কাজী দেলোয়ার হোসেন এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ডা. কানিজ ফাতেমা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন।