৩০০ আসনে ৮০০ নমিনেশন দেয়ার মাধ্যমে বিএনপির ‘রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ’ ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড.হাছান মাহমুদ।
শনিবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলায় দৈনিক সময়ের সংবাদের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন-সমসাময়িক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘৩০০ আসনে বিএনপি নমিনেশন দিয়েছে ৮০০ জনকে। দেশের ইতিহাসে কোনও রাজনৈতিক দল ইতোপূর্বে এমন কাণ্ড করেনি। তবে দুষ্ট লোকেরা বলছে তারা নাকি নির্বাচনী ফান্ড কালেকশনসহ আরও নানা কারণে সবাইকে চিঠি দিয়েছে। অর্থাৎ বিএনপির রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব নমিনেশন দেয়ার ক্ষেত্রেও প্রচণ্ডভাবে ফুটে উঠেছে।’
‘সরকারি দল নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে’- বিএনপির এমন অভিযোগের কড়া সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘আপনারা (বিএনপি) যে প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করছেন এটা তো আচরণবিধির চরম লঙ্ঘন। দেশে দুই বছরের বেশি দণ্ডিত কেউ নির্বাচনে অযোগ্য হলেও যাবজ্জীবন দণ্ডিত আসামি তারেক রহমান যিনি নির্বাচনে অযোগ্য তিনি কিভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করেন। এটি কি আচরণবিধির চরম লঙ্ঘনের মধ্যে পড়ে না?’
‘নির্বাচনে থাকবো কিনা তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে’- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে নির্বাচনের মাঠে নেমে বিএনপি নেতারা বুঝতে পেরেছেন মাঠে তাদের জনসমর্থন নেই। কারণ এতদিন যেসব নেতারা কর্মীদের খবর রাখেনি তাদের জন্য মাঠে নামার কোনও কারণ কর্মীদের নেই। সুতরাং বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে মনে হচ্ছে তারা পালাবার পথ খুঁজছে।’
বিএনপি নেতাদের অনুরোধ জানিয়ে হাছান বলেন, ‘নির্বাচন ছেড়ে মাঝপথে পালানোর চেষ্টা না করে মাঠে থাকুন। আমরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চাই।’
দৈনিক সময়ের সংবাদের উপদেষ্টা সম্পাদক আব্দুল মতিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, শাহাবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম আতিক ও দৈনিক সময়ের সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক এম এ রব রনি প্রমুখ।