বর্তমান সরকারের অধীনে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আমরা সেটা বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু কার্যকলাপ যা দেখছি তা আদৌ সন্তোষজনক নয়। বিরোধী দলে আমরা যারা আছি আমাদের পক্ষে সে পর্যন্ত টিকে থাকাও সম্ভব হবে না। বললেন ২০ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। সন্ধ্যা ৬টায় থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
কর্নেল অলি বলেন, প্রতিদিন গণহারে নির্বাচনী এলাকায় বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। কিছু কিছু স্থানে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, যাচাই-বাছাইয়ে একের পর এক বিএনপি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়ায় ২০ দলীয় জোটের আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা আব্দুল হালিম, খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শফিউদ্দিন ভূঁইয়া, জাগপা মহাসচিব খোন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপি মহাসচিব গোলাম মোস্তফা, ডিএল এর মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি উপস্থিত ছিলেন।
আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ৭৮৬টি মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এছাড়া মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে ২ হাজার ২৭৯টি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থীরা ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৩০০ আসনে ৩ হাজার ৫৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই করা হয়। প্রার্থিতা প্রত্যাহার হবে ৯ ডিসেম্বর। আর প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে ১০ ডিসেম্বর। ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।