জাতীয় পার্টির নতুন মহাসচিব, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, ‘শুধু সাবেক মহাসচিবই নয়, মনোনয়ন বাণিজ্যের সঙ্গে কারও জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
সোমবার বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টির মনোনয়ন কেনার জন্য টাকা দিয়েছে এমন ভুক্তভোগী পাওয়া গেলে, কিংবা এ ধরনের কারও অভিযোগ থাকলে জাতীয় পার্টির কাছে জানান। মনোনয়ন বাণিজ্যের ঘটনা তদন্তে প্রেসিডিয়াম সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হবে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এর আগে সোমবার সকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারকে সরিয়ে মসিউর রহমান রাঙ্গাকে মহাসচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়।
জাতীয় পার্টির একটি সূত্রে জানা যায়, সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে দলের অনেক নেতা বনানী কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেন। এসব কারণে তাকে সরানো হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রোববার ঋণখেলাপির কারণে রুহুল আমিন হাওলাদারের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।