বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দিতে আইন মন্ত্রণালয়ে জেলা দায়রা জজদের নিয়ে একটি গোপন বৈঠক হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বস্ত সুত্র খবর পেয়েছি, জেলা দায়রা জজ আছেন তাদের একটি সভা হয়েছে, আইন মন্ত্রণালয়ে বৈঠক হয়েছে। সেখানে ‘অত্যন্ত স্বনামধন্য’ সচিব নির্দেশ দিয়েছেন যে নির্বাচনের পূর্বে তারা যেনো জামিন না দেয়। এই কথাগুলো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।’
বুধবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন ক্রমেই প্রহসনে পরিণত হতে চলছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং নির্বাচন কমিশনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে আবার ক্ষমতায় যেতে চায়। সেজন্য বিরোধী দলের ওপর অত্যাচার নির্যাতন-নিপীড়ন এবং যতো রকম কৌশল আছে সরকার প্রয়োগ করছে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার পর থেকে গ্রেফতারের পরিমাণ বেড়ে গেছে। গতকাল পর্যন্ত ১ হাজার ৯৭২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছি যে তারা তাদের দায়িত্ব পালন করে, লেবেল প্লেইং ফিল্ড তৈরি করার। কিন্তু লেবেল প্লেইং ফিল্ড দূরে থাকুক, এখন চেষ্টা করা হচ্ছে কিভাবে আরও খারাপ করা যায়। খান-খন্দ খোড়া চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রতি মুহুর্তে প্রতিবিন্ধকতা সৃষ্টি করছে নির্বাচন কমিশন। পরিপত্র জারি করছে। যেগুলো নির্বাচনের সহায়ক নয়।
সরকারি দল প্রতিদিন সভা সমাবেশ করছে কিন্তু ইসি কিছুই করছে না দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আপনারা যদি দায়িত্ব পালন না করতে পারেন তাহলে দেশবাসীকে বলুন যে স্বাধীন ভাবে আমরা দায়িত্ব পালন করতে পারছি না। দায়িত্ব পালন না করতে পারলে পদত্যাগ করা উচিত। অন্যথায় সংবিধান আপনাদের যে দায়িত্ব দিয়েছে সেই দায়িত্ব নিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। আপনারা দায়িত্ব পালন করলে আমরা সাহায্য করবো। দেশের মানুষ সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।’