সবার প্রতি সমআচরণ করতে হবে। আইনের চোখে যেন সবাই সমান থাকে। কালো নির্বাচন নয়, সাদা নির্বাচন উপহার দিতে চাই।
বললেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তদন্ত কমিটির সাথে বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
মাহবুব তালুকদার বলেন, সবাই সমান অধিকার ভোগ করছে কি না, সেটাই বিবেচনার বিষয়। সব আইন প্রয়োগ হচ্ছে কি না, আপনারা সেটা খেয়াল রাখবেন।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নিতে গেলে সতর্কতা থাকতে হবে। সর্বোচ্চ সাজার বিষয়ে লিগ্যাল মাইন্ডকে প্রাধান্য দিয়ে বিবেচনায় রাখতে হবে, কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন সাজা না পায়।
তিনি বলেন, আমরা ভাগ্যাবান যে, আমরা একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে যাচ্ছি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সাধারণত নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়। প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে এক পক্ষের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা সফল হয় না।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে পক্ষে-বিপক্ষে ভারসাম্য থাকে। কমিশন ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সোনালি ইতিহাস রচিত হতে যাচ্ছে। নিরপেক্ষ, পক্ষপাতমুক্ত নির্বাচন গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। গণতন্ত্র নিত্যদিনের অনুপ্রেরণা।
মাহবুব তালুকদার বলেন, আপনারা বিচারকরা আমাদের নির্বাচন কমিশনের শপথের অংশীদার। কমিশনারদের শপথ আপনাদের মাঝে সঞ্চারিত হয়েছে।
বৈঠকে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে সাজা না দিয়ে দোষীদের সাজা দিতে জেলা ও দায়রা বিচারকদের প্রতি নির্দেশ দেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন।
এ সময় আরেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীরই দায়িত্ব না, নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত সবারই দায়িত্ব।
সুষ্ঠু নির্বাচন এর জন্য কোনো ভয়ভীতি কিংবা চাপ উপেক্ষা করে দায়িত্ব পালনে জেলা দায়রা বিচারকদের প্রতি নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।