কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে সরকার পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। রিজভী বলেছেন, ‘সরকার পেছন থেতে কলকাঠি নাড়ছে বলেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া নির্বানে অংশ নেয়ার ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্তির রায় দিয়েছে আদালত।’
মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা শুরুর দিনেই বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর সশস্ত্র আক্রমণ শুরু করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বিভিন্নস্থানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থীদের প্রচারণার মাইক ভাংচুর এবং বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতেই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করেছে।’
রিজভীর অভিযোগ, ‘প্রচারণার শুরুতেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আইনশৃঙ্ঘলা বাহিনীর ছত্রছায়ায় মিছিল সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। এ মিছিল থেকে তারা রাস্তার ধারে বিএনপির অফিস দেখলেই সেই অফিসে হামলা চালিয়ে তছনছ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলেও রাজধানীসহ সারা দেশে পুলিশি তাণ্ডব থামছেই না। বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা, গ্রেফতার ও গুম বন্ধ হচ্ছে না। পোশাকে ও সাদা পোশাকে পুলিশ এখন ভয়ংকর আতংকের নাম।’
রিজভী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রচারণার ন্যুনতম পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত না করতে পারায় এসব হামলা হচ্ছে। সরব এবং নিরব সন্ত্রাসে জনগণের উদ্বেগ ও আতংক কাটছে না। কুষ্টিয়াতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন নেতার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিএনপির কেউ ভোট চাইতে গেলে এই সন্ত্রাসী নেতা প্রকাশ্যে তাদের পিঠের চামড়া তুলে নেয়ার কথা বলেছেন। এই নেতাদের মতো অসংখ্য সন্ত্রাসীদেরকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় নির্বাচনী মাঠে ছাড়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে জানতে পারছি-উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছ থেকে ব্ল্যাংক রেজাল্ট শীটে স্বাক্ষর নিয়ে রাখছেন।’