একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বহিনী বৈধ অস্ত্র জমা নেবে না কিন্তু এসব অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন নিষিদ্ধ থাকবে। তবে প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা কিছুটা শিথিল থাকবে। বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বুধবার বা বৃহস্পতিবারের মধ্যে নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া চিঠির ভিত্তিতে সচিব (জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব) অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও বৈধ অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশনা সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে একটি নির্দেশনা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে এসেছে। সেখানে বলা হয়েছে যে, কেউ বৈধ অস্ত্র প্রদর্শন ও বহন করতে পারবে না। প্রাইভেট সিকিউরিটি সংস্থা তাদের অস্ত্র রেখেই কাজ করবে। আর যাদের ব্যক্তিগত অস্ত্র আছে সেগুলো তারা দেখাতে পারবে না, কাউকে শো করতে পারবে না, সঙ্গে নিয়ে চলাচল করতে পারবেন না। তবে আমরা ইসির এই নির্দেশনার সঙ্গে এটাও যুক্ত করতে চাচ্ছি যে, নির্বাচনে প্রার্থীর ব্যক্তিগত অস্ত্রের বিষয়ে আমরা ঠিক এ রকম কড়াকড়ি করব না।
তিনি বলেন, আত্মরক্ষার জন্য প্রার্থীর যে অস্ত্র রয়েছে সেটা সে সঙ্গে রাখতে পারবেন কিন্তু প্রদর্শন করতে পারবেন না। কোনো লাইসেন্সধারী অস্ত্র বহন করতে পারবেন না, প্রদর্শন করতে পারবে না, কিছুই করতে পারবে না। যদি প্রয়োজন হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি প্রয়োজন মনে করে তবে এগুলো থানায় নিয়ে জমা রাখতে পারেন। এখন থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এই নির্দেশনা বহাল থাকবে।