মাস্তানদের হাতে ভোটারদের সিদ্ধান্ত ছেড়ে দেয়া যায় না। ব্যালট বাক্স ছিনতাইকারীদের হাত থেকে ভোটারদের মুক্তি দিতে হবে।তাই পর্যায়ক্রমে ব্যালট বাক্সের বিকল্প ইভিএম সব নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে। নির্বাচন কমিশন বিশ্বাস করে ইভিএম হচ্ছে সেই বিকল্প পদ্ধতি, যার মাধ্যমে নির্বাচনে ভোটের নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব হবে।বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় শুরু হওয়া ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয় সভা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ইভিএমকে নির্বাচনে অনিয়ম দূর করার একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম বলে মনে করে ইসি। ইভিএম সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হলে শতকরা ৮০ ভাগ অনিয়ম দূর করা সম্ভব হবে। সমগ্র নির্বাচন ইভিএমের অধীনে নিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়ে আমরা অগ্রসর হচ্ছি। এটিকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে ৬টি এলাকায় ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতদের আলাদা দৃষ্টি, নজরদারি ও নিরাপত্তা দেবার অনুরোধ জানান সিইসি।
নুরুল হুদা বলেন, নির্বাচন কেন্দ্রে থাকবেন প্রিজাইডিং অফিসার। মনিটরিংয়ে রিটার্নিং অফিসার। আর সমগ্র নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সকল বাহিনী থাকবে। তারা রিটার্নিং ও প্রিজাইডিং অফিসারদের অবস্থা দেখবেন। তাদের সাহায্য সহযোগিতা চাওয়া মাত্র দিতে হবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে উঠিয়ে আনার দায়িত্ব সকলের। পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন ও কৌশল অবলম্বন করতে হবে। সব গোয়েন্দা সংস্থা সক্রিয় নজরদারি অব্যাহত রাখবে।
তিনি বলেন, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ভোট কেন্দ্রে আসা ও ফেরার পথে নারীদের বিশেষ নিরাপত্তা, প্রত্যেক এলাকার মাস্তান ও দুর্ধর্ষদের তালিকা করে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভোটের ভাগ্য সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেয়া যাবে না। সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।