বিএনপি শেষ দিন পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ধানের শীষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, জনগণ সঙ্গে আছে বলেই আমরা নির্বাচনের মাঠে নেমেছি। তবে একটা অসম নির্বাচন হচ্ছে। সরকার চাইছে যেকোনো ভাবে নির্বাচন থেকে আমাদের সরিয়ে দিতে। সরকারের সংস্থাগুলো সরকারের হয়ে কাজ করছে।
আজ শনিবার সকালে বগুড়ায় পৌর মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় কিন্তু সরকার চায় ভয় ভীতি দেখিয়ে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে। ৩০ ডিসেম্বর ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া নিশ্চিত করতে পারলেই বিজয় নিশ্চিত।
একই সঙ্গে তিনি পুনরায় নির্বাচনে সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়ার দেওয়ার দাবি জানান।
আওয়ামী লীগ সরকার কোনও প্রতিশ্রুতি মানছে না মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে গায়েবি মামলার তালিকা চাইলো। সেই তালিকা দেওয়া হলো। কিন্তু কোনও কাজ হলো না। উল্টো মামলা-হামলা বেড়েই চলছে। প্রতিদিন দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। এতো কিছুর পরও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নির্বাচনে থাকবে। কারণ বিএনপি মনে করে জনগণই সব ক্ষমতার উৎস।
এর আগে শুক্রবার রাত ১০টা পর্যন্ত শহরতলীর ১২টি পয়েন্টে পথসভা করেন ফখরুল। বিএনপির কাছে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আসন হিসেবে পরিচিত বগুড়া-৬ আসনে ১৯৯৬ সালের পর এবারই প্রথম প্রার্থী হতে পারেন তিনি। তার বিকল্প প্রার্থী হিসেবে দলের মহাসচিব হিসেবে এই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে ফখরুলকে। নিজের ঠাকুরগাঁও-১ আসনের পাশাপাশি বগুড়া-৬ আসনেও এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।