একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন ভোটকেন্দ্র থেকে সরাসরি প্রচার (লাইভ ) করা যাবে, তবে ভোটকক্ষ থেকে সরাসরি প্রচার করা যাবে না। ভোটকক্ষের ছবি তোল যাবে। বললেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
আজ (শনিবার) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।
সিইসি বলেন, ভোট গ্রহণের দিন কেন্দ্রের ভেতর কক্ষ থেকে সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে পারবেন; কিন্তু লাইভ করা যাবে না। ভোট কক্ষের মধ্যে কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্য়বেক্ষকসহ সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে কিছু বিধি নিষেধ রয়েছে। এবার ভোটকেন্দ্রের মাঠে এবং বারান্দা থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে। কিন্তু ভোটকেন্দ্রের ভোটকক্ষে কোনও লাইভ করা যাবে না।
তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য র্নিবিঘ্নে নির্বাচন সম্পন্ন করা। তাই নীতীমালা একটু পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া ভোটকেন্দ্রে সীমিতআকারে যেন সাংবাদিক যান সে দিকে খেয়াল রাখার অনুরোধ করছি।
এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছেন, আমরা এক একজন সাংবাদিক এক একটি প্রতিষ্ঠানকে প্রতিনিধিত্ব করি। তাহলে সীমিত আকারে কিভাবে যাবো।
এই প্রশ্নের উত্তরে কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) শাহাদাত হোসেন বলেন, আপনারা আমাদেরকে ভুল বুঝবেন না। গণমাধ্যমেকে আমরা আমাদের শক্তি মনে করি। তবে ভোটকেন্দ্রে যেন কোনও ঝামেলা বা হট্টগোলা না হয় সেজন্য সীমিতআকারে বলা হয়েছে। আপনারা যাবেন, তবে ভোটের পরিবেশ যেন নষ্ট না হয়। প্রিজাইডিং অফিসারকে সম্মান করতে হবে। মানতে হবে
দেশি-বিদেশি পর্য়বেক্ষক প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, দেশি এবং বিদেশি পর্য়বেক্ষকের জন্য ভিন্ন ভিন্ন নীতিমালা রয়েছে। আশা করছি তা তারা মেনে চলবেন।
নির্বাচনী আচারণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আছে। সেটার জন্য ইলেকট্রলার কমিটি, রির্টানিং কর্মকর্তা এবং ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। তারা ব্যবস্থা নেবেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় ফৌজদারি অপরাধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সিইসি।