জিয়া-খালেদার পর ড. কামাল এখন যুদ্ধাপরাধীদের রাষ্ট্র ও সমাজে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, ‘এই অপরাধবোধ থেকেই সম্ভবত তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নে ক্ষেপে গিয়েছিলেন। তবে তার মনে রাখা উচিত একমুখ ধমক দিয়ে বন্ধ করা যায়, কিন্তু কোটি মানুষের দেশবাসীর মুখ বন্ধ রাখা যায় না।’
আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে ‘শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস ২০১৮’ উপলক্ষে আলোচনা সভায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মেনন বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের সাথে নিয়ে নির্বাচন করে ড. কামাল বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যাবার কেবল নৈতিক অধিকারই হারান নাই, বুদ্ধিজীবী হত্যা, স্বাধীনতা-মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কথা বলার কোনো অধিকার তিনি হারিয়েছেন। তাই, সাংবাদিকরা নয়, দেশবাসীর কাছে তারই ক্ষমা চাইতে হবে।’
সাংবাদিকদের টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করা প্রসঙ্গে মেনন বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী হত্যা নিয়ে প্রশ্ন করায় ড. কামাল যদি একজন সাংবাদিককে হুমকি দিতে পারেন- কত টাকা নিয়ে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করছে বলে জিজ্ঞেস করতে পারেন, তাহলে আমরাও তাকে একই প্রশ্ন করতে পারি যে তিনি কত টাকার বিনিময়ে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায় বসাতে মাঠে নেমেছে। ক্ষমতায় যাবার লোভে ড. কামালরা ধরা কে সড়া মনে করছে। তারা পাকিস্তানের আইএসের সাথে আতাত করে রাজাকার আলবদরের দোসরদের এখন ক্ষমতায় নিতে চায়।”
যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে মেনন আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা যেমন আমাদের স্বাধীনতাকে কখনই মেনে নিতে পারেনি ঠিক তেমনি তাদের বংশধরেরাও আমাদের স্বাধীনতার অস্তিত্ব মানে না। অথচ ড. কামাল হোসেনদের মতো কিছু তথাকথিত স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোকেরা আজ স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে কেবল ঐক্যই করেনি তাদেরকে ক্ষমতায় নেবার জন্য ধানের শীষ মার্কায় নমিনেশনও দিয়েছে। কাজেই দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিদের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। তাদেরকে কেবল নির্বাচনেই নয় দেশের সবকিছু থেকেই বয়কট করতে হবে। যেখানেই তারা ঐক্য করবে সেখানেই তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। তাদেরকে যারা সমর্থন দেবে একই সাথে তাদেরকেও বয়কট করতে হবে।’
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় আরও অংশ নেন- শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর সহধর্মিনী শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের উপাচার্য ড. কণক কান্তি বড়ুয়া, বিএমএ’র মহাসচিব ড. ইহতেশাম আলমগীর প্রমুখ।