একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ঐক্যফ্রন্ট যে ইশতেহার ঘোষণা করেছে তা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা হিসেবে দেখছে আওয়ামী লীগ।
সোমবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির পক্ষে এক সংবাদ সংম্মেলন থেকে এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান।
আবদুর রহমান বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারকে দেশের মানুষের সঙ্গে তামাশা করার জন্য। এটা বিশ্বাস যোগ্য নয়। এটা তাদের ভোটের রাজনীতির অপকৌশল।
আবদুর রহমান বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহার দেশের মানুষের সঙ্গে তামাশা করার জন্য। এটা বিশ্বাস যোগ্য নয়। এটা তাদের ভোটের রাজনীতির অপকৌশল। দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে তারা নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছে।’
ঐক্যফ্রন্টের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়া চলমান রাখার ঘোষণার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগের এ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের ২৩ উত্তরসূরিকে নির্বাচন করার সুযোগ দিচ্ছে। তারা আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কথা বলে। এটা জাতির সাথে প্রতারণা করা ছাড়া কিছুই না।’
ঐক্যফ্রন্টের দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ করার ঘোষণা প্রসঙ্গে আবদুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে হাওয়া ভবনকে দুর্নীতির আখড়ার পরিণত করেছিলো। দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে কারাগারে আছেন। ঐক্যফ্রন্টের দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা ভূতের মুখে রাম নাম।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘একটি বিশেষ গোষ্ঠী এখনও নির্বাচনকে বানচাল করতে নানা ধরনের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র করেছে। ড. কামালের নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কায় এ বিষয়টি আরও পরিষ্কার হয়েছে। দেশের মানুষ ও ভোটারা নির্বাচনে জন্য প্রস্তুত। দেশের মানুষ যেকোনো চক্রান্ত রুখে দিবে। দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে জনগণ বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় দেখতে চায়।’
একটি বিশেষ গোষ্ঠী বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে দোষ আওয়ামী লীগের ওপর চাপানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন আবদুর রহমান।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহউদ্দিন নাছিম, মোজাম্মেল হক, আহমদ হোসেন, তথ্য-গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুর সবুর, নির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমুখ
