একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সারাদেশে ঐক্যফ্রন্ট্রের প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর যে হামলা ও গ্রেপ্তার হয়রানির অভিযোগ আনা হয়েছে, তা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষনেতারা।
বৈঠকে সারাদেশের ৩০ জেলায় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি সংক্রান্ত লিখিত অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
এছাড়া বৈঠকে আচরণ বিধি বহির্ভূত পুলিশি অভিযানের নামে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, তল্লাশির নামে বাসাবাড়িতে তাণ্ডব, গুরুতর জখম ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করাসহ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য লিখিত দাবি জানানো হয়।
আজ সোমবার বেলা ২টায় রাজধানীর নির্বাচন ভবনে বৈঠকটি শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চার কমিশনার ছাড়াও নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত রয়েছেন।
অন্যদিকে ঐক্য ফ্রন্টের প্রধান ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, আ স ম রব, মাহমুদুর রহমান মান্না, নজরুল ইসলাম খান, ড. মইন খান, মোস্তফা মহসিন মন্টু, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ উপস্থিত রয়েছেন।
বৈঠকে সারাদেশের যে ৩০ জেলায় সহিংসতার কথা বলা হয়েছে সেগুলো হলো ঢাকা মহানগর, চাঁদপুর, কুমিল্লা, জামালপুর, ঝিনাইদহ, ভোলা, চট্টগ্রাম, শেরপুর, ফরিদপুর, নেত্রকোনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ময়মনসিংহ, ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালী, রাজশাহী, যশোর, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, নরসিংদী, নাটোর, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, জয়পুরহাট, মেহেরপুর, রংপুর, পাবনা, সাতক্ষীরা, ফেনী, সিরাজগঞ্জ ও হবিগঞ্জ।