জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের প্রার্থিতার বিষয়ে আগামী সোমবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আজই এবিষয়ে উচ্চ আদালতের চিঠি পেয়েছি। বললেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি সচিব বলেন, এ বিষয়ে আইন শাখাকে পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে কমিশনকে অবহিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যেই কমিশন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।
সাংবাদিকরা বেশ কিছু জায়গায় সহিংসতার ঘটনা উল্লেখ করলে এগুলোকে বিক্ষিপ্ত বলে মন্তব্য করেন সচিব। তিনি বলেন, এগুলো উপমহাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি। বিভিন্ন এলাকায় প্রার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।পাশের দেশ ভারত, শ্রীলংকায়ও এ ধরনের ঘটনা হয়।
তিনি বলেন, নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে সব জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তাকে কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সব বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। নির্বাচন কমিশনারদের মতপার্থক্যের বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘এটা মাননীয় কমিশনারদের বিষয়। এটা নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
ইসি সচিব আরও জানান, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোটের মাঠে থাকবে গ্রাম পুলিশ। ৬৪টি জেলায় ৪১ হাজার গ্রাম পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অনান্য বাহিনীর সঙ্গে চার দিন কাজ করবে। এজন্য মহলাদাররা (চৌকিদার) ৫০০ টাকা ও দফাদাররা ৬০০ টাকা করে ভাতা পাবেন। সেই হিসেবে এবারই কমিশন থেকে নির্বাচনের জন্য ভাতা পাবেন গ্রাম পুলিশের সদস্যরা। নির্বাচনে গ্রাম পুলিশের জন্য বাজেট ধরা হয়েছে ৮ কোটি ২১লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এই বরাদ্দ জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান ইসি সচিব। গ্রাম পুলিশ জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে এই বরাদ্দ বুঝে নেবেন।
পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিকেও নির্বাচনের জন্য অগ্রিম ৩৩৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তবে সেনাবাহিনীর জন্য এখনও বরাদ্দ নিশ্চিত করতে পারেনি কমিশন।