গাইবান্ধা-৩ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ড. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরী মারা যাওয়ায় ওই আসনে ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১৭ এর ১ ধারা অনুযায়ী আসনটিতে নির্বাচন বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ইসি সচিব।
তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীর মৃত্যুর সনদসহ বিশদ তথ্য পাঠালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য কমিশনাররা এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবেন। তবে, ৩০ ডিসেম্বর ওই আসনে নির্বাচন হবে না। এরপর, সিদ্ধান্ত নিয়ে পুনঃতফসিল ঘোষণা করা হবে বলে জানান নির্বাচন কমিশন সচিব।
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীদের প্রার্থিতার বিষয়ে ইসি সচিব আরও বলেন, কমিশন মহামান্য উচ্চ আদালতের চিঠি আজ (বৃহস্পতিবার) পেয়েছে। এ বিষয়ে আইন শাখাকে পর্যাপ্ত পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে কমিশনকে অবহিত করতে নির্দেশ হয়েছে। আগামী দুই দিনের মধ্যেই কমিশন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবে বলে জানান হেলালুদ্দীন আহমদ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসায় অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও কাজী জাফরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ড. টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরী।
তিনি গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি- সাদুল্যাপুর) আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন।টিআইএম ফজলে রাব্বী দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসে সংক্রমণ ও উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।
তিনি জাতীয় পার্টি থেকে গাইবান্ধা-৩ আসনে ১৯৮৬, ১৯৮৮, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পারিবারিক জীবনে তিনি ৩ ছেলে ও ২ কন্যা সন্তানের জনক।
ড. টিআইএম রাব্বী চৌধুরী ১৯৩৪ সালে ১ অক্টোবর গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার তালুকজামিরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ৬ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। তার বাবা মরহুম আহসান উদ্দিন চৌধুরী ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক।
১৯৫৭ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (অনার্স) ডিগ্রি লাভ করেন ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। ১৯৬০ সালে বৃত্তি নিয়ে ১৯৬৩ সালে টেকসাস অ্যান্ড এস থেকে এমএসসি এবং ১৯৬৫ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহে অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর হিসেবে যোগদান দেন।
১৯৮৪ সালে এইচএম এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন তিনি। এরপর তিনি রাষ্ট্রপাতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন। পরবর্তী সময় তিনি ভূমিমন্ত্রী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ও সংস্থাপন মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।