ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্তত ১০ জন বিদ্রোহী প্রার্থী এখনো মাঠে রয়েছেন। ভোট থেকে সরতে চাইছেন না। দলটি বিদ্রোহী প্রার্থীদের আজীবন বহিষ্কারের হুমকি দিলেও এখনও মাঠে আছেন তারা।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির ইয়াসিন আলীকে না মেনে নৌকার বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছেন দলটির সাবেক সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ইমদাদুল হক। তার মার্কা মোটরগাড়ি।
গাইবান্ধা-১ আসনে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে মানতে চাইছেন না উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এমদাদুল হক। তিনি স্বতন্ত্র হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন এবং বেশ ভালোভাবেই ভোটে আছেন। এই আসনে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফরুজা বারীও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
পিরোজপুর-৩ আসনে জোট প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির রুস্তম আলী ফরাজীকে মানছেন না সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুর রহমান। মঠবাড়িয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে তিনি প্রার্থী হয়েছেন আপেল প্রতীকে।
যশোর-৫ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্বপন ভট্টাচার্যের পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে আছেন দলের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সহ-সম্পাদক কায়সার হাসান বারীও। তার মার্কা ‘ঢাক’।
নরসিংদী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পাওয়া জহিরুল ইসলাম মোহনকে না মেনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। ২০১৪ সালেও মোহনের প্রতিপক্ষ হিসেবে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয় পান সিরাজুল ইসলাম মোল্লা। তার মার্কা সিংহ।
মাদারীপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মন্ত্রী শাজাহান খান নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন। এই আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আল আমিন মোল্লা ‘সিংহ’ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির লিয়াকত হোসেন খোকাকে না মেনে বিদ্রোহী হিসেবে আছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার।
মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মৃণাল কান্তি দাসকে মানতে চাইছিলেন না জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিনের ছেলে পৌর মেয়র ফয়সাল বিপ্লব। তবে তিনি ভোটে দাঁড়াননি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন তার স্ত্রী চৌধুরী ফাহরিয়া আফরিন। তিনি একতারা প্রতীকে ভোটের লড়াইয়ে আছেন।
ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহকে সিংহ প্রতীকে চ্যালেঞ্জ করেছেন নিক্সন চৌধুরী। তিনি ২০১৪ সালেও দলের সমর্থন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জিতে যান।
লক্ষ্মীপুর-২ আসনে মহাজোট মনোনীত জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ নোমানের পাশাপাশি প্রার্থী হয়েছেন কুয়েত আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পাপুল। তবে দল সমর্থন না করায় তিনি স্বতন্ত্র পরিচয়ে ভোট করছেন।
ফেনী-১ আসনে মহাজোটের প্রার্থী জাসদের শিরিন আখতারকে আপেল প্রতীকে চ্যালেঞ্জ করছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ আবদুল্লাহ। তিনি প্রচার চালাচ্ছেন এলাকায়।