আগামী ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগ জয় নিশ্চিত করতে চায়। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
রিজভী বলেন , পুলিশ প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থেই নির্বাচন একতরফা করতে সকল শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে অভিযোগ করেন রিজভী।তিনি বলেন, ‘ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেন মরণকামড় দিচ্ছে। ধানের শীষের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের চালুনী দিয়ে ছেঁকে তুলছে।’
রিজভী বলেন, সজিব ওয়াজেদ জয় যে বলেছিল আওয়ামী লীগ ২২০ আসন নিয়ে সরকার গঠন করবে। সেটার বাস্তবায়নের জন্যেই মাস্টারপ্ল্যান করে বিএনপি’র প্রার্থীতা বাতিল ও স্বয়ং এমপি প্রার্থীদের কে গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং জামায়াতের নেতা বলে আরও ২২-২৩টা আসনের প্রার্থিতা বাতিল করার নাকি পরিকল্পনা চলছে।
তিনি বলেন, ইসি কর্তৃক চূড়ান্ত করার পর তাদের এই প্রার্থিতা বাতিল হবে, যা চরম প্রতারণা। এই দায় ইসিকেই নিতে হবে। মোট কথা ২৭ তারিখের মধ্যে এই জয় তারা নিশ্চিত করতে চায়।
‘সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দেওয়া হচ্ছে তাদেরকে ধরার জন্য। নেতাকর্মীদেরকে না পেয়ে মহিলা সদস্যসহ পরিবারের লোকজনদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং কোথাও কোথাও বিএনপি নেতাকর্মীকে না পেয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ‘ যোগ করেন তিনি ।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি-আজ থেকে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অপারেশনের মাত্রা বৃদ্ধি করা হবে। এক্ষেত্রে বিজিবি ও র্যাবকে বিএনপি নেতাকর্মীদের লিষ্ট সরবরাহ করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সারাদেশের স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ওয়ার্ড থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের তালিকা স্থানীয় থানায় ইতোমধ্যে জমা দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকাগুলোই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখন বিজিবি ও র্যাবের নিকট সরবরাহ করছে। সরবরাহকৃত তালিকা ধরে ধরে আজ রাত থেকেই নাকি নেতাকর্মীদের আটক করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘ধানের শীষের পোলিং এজেন্ট হিসেবে যাদেরকে মনোনীত করা হবে তাদের নির্বাচনের দু’একদিন আগেই গ্রেপ্তার করা শুরু হবে। আমরা বিভিন্ন সূত্রে আরও জানতে পেরেছি-ডিএমপি থানার ওসিরা সীল মারার জন্য প্রাপ্ত তালিকাভুক্ত আওয়ামী কর্মীদের সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন এবং নির্দেশনা দিচ্ছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।