শাহ এ এম এস কিবরিয়াকে হত্যা করেছে বিএনপি। বাপের হত্যাকারী দলে যোগ দিয়ে ধানের শীষে কিবরিয়ার ছেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না।
শনিবার বিকেলে সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক আদর্শ সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর নামে বিএনপি-জামায়াত জীবন্ত মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। এরা মানুষ পুড়িয়ে মারা ছাড়া আর কিছু পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি, এতিমের টাকা চুরি করায় বিএনপি চেয়াপারসন আজ সাজাপ্রাপ্ত। তার বিরুদ্ধে মামলা আওয়ামী লীগ দেয়নি। খালেদা জিয়ার পছন্দের সেনাপ্রধান, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এই মামলা দিয়েছিল। সেই মামলায় তার সাজা হয়েছে।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক জিয়া অস্ত্র মামলা, বোমা হামলা মামলা, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। এই সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিদেশের মাটিতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সম্ভব হলে তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে কারাগারে পাঠানো হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, তারুণ্যই শক্তি, তরুণরাই আনবে বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। তরুণদের মেধাকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ উন্নতির শিখরে পৌছে যাবে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, হজরত নূহ (আ.) এর নৌকা বিপন্ন মানুষকে যেভাবে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে এসেছিল সেভাবে আওয়ামী লীগের নৌকা মানুষের বিপদে এগিয়ে এসেছে। নৌকা মানুষের বিপদের বন্ধু।
তিনি আরও বলেন, সিলেটে কোনও দারিদ্র্য থাকবে না। নৌকা হলো বিপদের বন্ধু। নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা পেয়েছে। সিলেটের চারটি জেলার উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি আমরা হাতে নিয়েছি। আগামীতে ক্ষমতায় এলে এই কর্মসূচিগুলো বাস্তবায়িত হবে।
এর আগে শনিবার বেলা ১১টার দিকে সড়কপথে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা সিলেট পৌঁছান। পরে নেতাকর্মীদের নিয়ে শনিবার বেলা ১১টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও
আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা সিলেটে পৌঁছান। এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি হযরত শাহজালাল (রহ.), হযরত শাহপরান (রহ.) ও গাজী বোরহান উদ্দিন (রহ.) এর মাজার জিয়ারত করেন শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।