স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ফরিদপুর-৩ আসনের বিএনপির প্রার্থী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফকে জনসংযোগ চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
রোববার সকালে নৌকার প্রার্থী খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার বদরপুরের বাসভবন আফসানা মঞ্জিলে জেলায় কর্মরত সংবাদকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যানকে এ আহ্বান জানান।
নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কাউকে বাধা দেয়া হচ্ছে না, তারপরও কেন বিএনপি মাঠে নেই তা জানতে চেয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘এবারের নির্বাচন অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে সেটাই প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু সেই পরিবেশ কেন সৃষ্টি হচ্ছে না তা আমার বোধগম্য নয়। ফরিদপুরে বিএনপি প্রচার-প্রচারণায় যেভাবে নিষ্ক্রিয় রয়েছে তাতে আমার সন্দেহ হয় ভেতরে ভেতরে তারা কোনও খারাপ মতলব পাকাচ্ছে কিনা। তা না হলে শহরে কোনও পোস্টার লাগাচ্ছে না, আবার ভোটও চাইতে নামে না। উল্টো নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নালিশ দিচ্ছে, তাদের নাকি আমরা প্রচারণা চালাতে দিচ্ছি না। আমি এমন নির্বাচন চাই না।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনের স্বার্থে আমি বলছি, বিএনপির লোকজন যখন ভোট চাইতে মাঠে নামবে আমি আমার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সেখানে যেতে দেব না। তবুও তারা যেন নির্বাচনের মাঠে থাকে। যদি প্রয়োজন হয় আমি আমার লোকজন দিয়ে তাদের জন্য মঞ্চ করে দেব, তারা মিটিং করুক। প্রয়োজনে লোকজন দিয়ে তাদের ভোট চেয়ে দেব।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ফরিদপুরে নির্বাচনী প্রচারণার দ্বিতীয় দিন ইউসুফ নামে আমার এক নেতাকে তারা পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি তাকে দেখতে পর্যন্ত যাইনি যাতে নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি না হয়ে যায়। তারা কী কারণে অনর্থক নালিশ করে বেড়াচ্ছে? এখনও সাতদিন সময় আছে, নিয়মনীতি মেনে তারা তাদের প্রচারণা চালাক। আমি চাই না নির্বাচনের পরে এমন কথা উঠুক যে আমরা তাদের মাঠেই নামতে দিইনি। অন্যথায় নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করলে সরাসরি বলে দেন যে নির্বাচন করতে পারছি না।’
এসময় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা এ কে আজাদ, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বরকত ইবনে সালাম, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এ এইচ এম ফুয়াদ উপস্থিত ছিলেন।