পুলিশি হয়রানিসহ নানামুখী নির্যাতনে ধানের শীষ প্রার্থীদের জন্য ভোট চাওয়ার পরিবেশ সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। প্রার্থীরা নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করতে পারছে না। পোস্টার লাগানো এবং লিফলেট বিতরণ করতে পারছে না। সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ জানায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
বুধবার সন্ধ্যায় পল্টনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেনের লিখিত বক্তব্য পড়েন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশব্যাপী ধানের শীষের প্রার্থী, নেতাকর্মী, সমর্থকদের উপর পরিচালিত হামলা-মামলা-নির্যাতনের মুখে ঐক্যফ্রন্ট নেতাকর্মীদের বড় একটা অংশ আজ ঘর ছাড়া। প্রচারে মাইক ভাংচুর এবং মাইক বহনকারী যানবাহন ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীদের জন্য ভোট চাওয়ার পরিবেশ সম্পূর্ণ অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আর এই সুযোগে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে একপক্ষীয় প্রচারণা চালাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা।
আরও বলা হয়, সবার জন্য যে সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়নি, তা এখন হলফ করে বলার প্রয়োজন নেই। বিষয়টি সবার জানা। কিন্তু এ প্রতিষ্ঠিত সত্যকে অস্বীকার করছে নির্বাচন কমিশন যা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পথে প্রধান বাধা।
লিখিত বক্তব্যে জগলুল হায়দার আফ্রিক বলেন, নির্বাচন কমিশন সঠিক পথে ফিরে এসে গণমানুষের প্রত্যাশা পূরণে আন্তরিকতার পরিচয় দেবে। সে প্রত্যাশা আপামর জনসাধারণের। সে কারণেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিশ্বাস যে, মানুষ অবাধে ভোট প্রয়োগের সুযোগ পেলে ধানের শীষের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
আফ্রিক আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনে ভোট কারচুপির সংবাদ যেন গণমাধ্যমে না আসে, সেজন্য পরিকল্পিতভাবে নানা ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে নির্বাচন কমিশন। মোটরসাইকেল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা, একসঙ্গে একাধিক মিডিয়ার সাংবাদিক একই ভোটকক্ষে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থেকে ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ, সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না-সাংবাদিকরা মোটরসাইকেল ব্যবহার করে সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন এমন নীতিমালা জারির মাধ্যমে মূলত মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমকে গলাটিপে হত্যা করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে৷
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টুসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।