নির্বাচন ঘিরে বিএনপি-জামায়াত ভয়াবহ সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে। বিএনপি-জামায়াত ভুয়া ব্যালট-বুথ সৃষ্টির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া ভিডিও ছড়াতে পারে। বললেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান এইচ টি ইমাম।
শনিবার বিকেলে ঢাকার ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে গঠিত মিডিয়া সেল এ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
এইচ টি ইমাম বলেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের অর্থায়নে ব্যাপক সহিংসতা ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে ভোটারদের মধ্যে ভীতি ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর চক্রান্ত চলছে।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে সহিংসতা অনেক কম হয়েছে। যেসব সহিংসতার ঘটনার ঘটনা ঘটেছে, সেসবের শিকার শুধুই আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
তিনি আরও বলেন, আগামীকালের নির্বাচন শুধু আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার জন্য নয়, গোটা বাঙালি জাতি ও গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামীকালের ভোট দেশের উন্নয়ন-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে।
এইচ টি ইমাম বলেন, সংবিধানের আলোকে জাতীয় নির্বাচন কোনও দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হয় না। নির্বাচন পরিচালিত হয় সাংবিধানিক ও স্বাধীন রেগুলেটরী কর্তৃপক্ষের অধীনে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী নির্বাচন কমিশন। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে ইসি কাজ করে যাচ্ছে। সাংবিধানিক নিয়মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এ নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষের প্রতিটি ভোট নিশ্চিত করবে পদ্মাসেতু নির্মাণের অসমাপ্ত কাজ, দ্রুতগতির বুলেট ট্রেনের স্বপ্ন, কর্ণফুলি টানেল-যমুনা ট্যানেল, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা।
এইচ টি ইমাম বলেন, বাংলাদেশে যা কিছু অর্জিত হয়েছে তা আওয়ামী লীগের হাত ধরে হয়েছে। এদেশে ভাত ও ভোটের অধিকারের জন্য দীর্ঘ সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রচার-প্রচারণা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনকালীন ১১ হাজার বিএনপি নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এইচ টি ইমাম বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার। বিএনপিকে প্রশংসা করতে হয় সঠিকভাবে প্রপাগান্ডা ছড়ানোর জন্য। বিএনপি প্রতিদিন তিনবার করে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করে। বিএনপি মিথ্যাচার ও ভুয়া সংবাদ ছড়ানোর মেশিন। তারা যেসব সংখ্যা দিয়েছে, এসব ভুয়া।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর রহমান, ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রী মোফাজ্জেল হোসন চৌধুরী মায়াসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।