ভোটকেন্দ্র দখল, জাল ভোট প্রদান ও রাতেই বাক্স ভরার অভিযোগ করে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
আজ (রোববার) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান ধানের শীষের ২২ প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র ৪ প্রার্থীর নির্বাচন বয়কটের কথা জানান।
তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ও সমতল মাঠ তৈরিতে ব্যর্থ হয়। এসব সত্ত্বেও আমরা আশাবাদী ছিলাম নির্বাচন কিছুটা হলেও নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে এবং জনগণ ভোট দেয়ার সুযোগ পাবে। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছি যে, জনগণের সকল প্রত্যাশাকে অবজ্ঞা করে শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতেই দেশের অধিকাংশ ভোট কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ব্যালট পেপারে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে ব্যালট কেটে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়।
শফিকুর রহমান বলেন, রোববার ভোট শুরুর সময় জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। এমনকি ধানের শীষ প্রতীকের এজেন্টদেরকে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। কোথাও কোথাও হামলা করা হচ্ছে এবং হামলা এখনো অব্যাহত আছে। প্রকৃতপক্ষে এটা কোনও নির্বাচনই নয়। নির্বাচনের নামে এটি একটি ব্যালট ডাকাতির প্রহসন এবং জনগণের সাথে প্রতারণা করা ছাড়া আর কিছুই নয়।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, ভোটার ও সাধারণ জনতার ওপর অব্যাহত হামলায় জনগণের জীবন আজ বিপন্ন। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ তো দূরের কথা জান-মালের কোনও নিরাপত্তা নেই। এই একতরফা নির্বাচনকে কোনও অবস্থাতেই মেনে নেয়ে যায় না। তাই বিদ্যমান পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর যেসব প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন সব আসনসমূহে আমরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও বয়কট করার ঘোষণা দিচ্ছি।