সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে একটা কলঙ্কিত নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, এই নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দেশের। অপমৃত্যু ঘটেছে নির্বাচন কমিশনের।
আজ বুধবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার সরকারের মেয়াদ পাঁচ বছর। কিন্তু এ সময় পর্যন্ত শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না, থাকবেন না।
তিনি বলেন, অধঃপতন কখনই চিরস্থায়ী হয় না। নিজের দলকে সামলানো এক সময় শেখ হাসিনার কঠিন হয়ে যাবে। এমনও হতে পারে যে, পদত্যাগ না করেও চলে যেতে পারেন শেখ হাসিনা।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, চট্টগ্রামের একজন প্রার্থী একটি ভোটও পায়নি। এটা পৃথিবীর আশ্চর্য বিষয়ের একটি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন নির্বাচন দেখিনি। ভাবীকালে (ভবিষ্যতে) আওয়ামী লীগ আর কখনোই মানুষের ভোটে জয়যুক্ত হতে পারবে না।
তিনি বলেন, বিদেশি কিছু ভাড়া করা পর্যবেক্ষক বলেছে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। অথচ পাকিস্তান আমলে যারা নির্বাচন পরিচালনা করেছে তারাও এত কারচুপি করেনি। শেখ হাসিনার এ বিজয় আগামী অল্পদিনের মধ্যে নিন্দার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি মনে করেন মাওলানা ভাসানী ও বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ এখন আর নেই। এ নির্বাচনে বড় ক্ষতি হয়েছে শেখ হাসিনার। এ ক্ষতি তিনি পোষাতে পারবেন না। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান।
এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।