বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্বাচনের আগে ও পরে যে ধরনের নৃশংসতা হয়েছে তা ইতিহাসে বিরল। এতে জনগণের অধিকার হরণ করা হয়েছে। নির্বাচনের নামে দেশে যে প্রহসন হয়েছে এটা দেশকে গণতন্ত্রহীনতা এবং অন্ধকার যুগে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। আমরা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।
শনিবার দুপুরে নোয়াখালী সুবর্নচরের গণধর্ষনের ঘটনায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভিকটিমকে দেখতে গিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, নোয়াখালীর সুবর্ণচরে যে ঘটনা ঘটেছে, এটা যারা ঘটিয়েছে এবং এর পেছনে যারা রয়েছে তাদের প্রত্যেকের বিচার করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
এর আগে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে সুবর্ণচরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার নারীকে দেখতে নোয়াখালী আসেন মির্জা ফখরুলসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। সেখানে তারা কিছুক্ষণ তার পাশে বসেন ও ভিকটিমের কথা শোনেন। পরে তাকে নগদ আর্থিক সহযোগিতা করেন।
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আসেন আ স ম আবদুর রব, বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার এ এম মাহবুবউদ্দিন খোকন, জয়নাল আবেদিন ফারুক, বরকতউল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, শামীমা বরকত লাকীসহ আরও অনেকে।
স্বজনদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, রোববার (৩০ ডিসেম্বর) নির্বাচনের দিন সেই নারী ধানের শীষে ভোট দিয়ে ফেরার পথে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন। এরপর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১০-১২ জন মিলে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন। এছাড়া ওই দম্পতি এবং তাদের সন্তানদের পিটিয়ে জখম করেন তারা।
পরে এ ঘটনায় সোমবার রাতে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে সুবর্ণচরের চরজব্বার থানায় মামলা করেন। এ মামলায় ৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রধান আসামি সোহেলসহ এ পর্যন্ত সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।