রাজনীতির মাঠে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিয়োগে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা পূরণ করা দুরূহ। ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনীতিতে তিনি বিশ্বাস করতেন না। আমাদের ছেড়ে তার চলে যাওয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য এক বড় শূন্যতা।
বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৬ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম নামাজে জানাজা শেষে একথা বলেন তিনি।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সৈয়দ আশরাফ ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ। আজীবন দলের দুঃসময়ে সাহসী ভূমিকা ও নেতৃত্ব রেখেছেন। ওয়ান-ইলেভেনের সময় আমরা সবাই যখন কারাবন্দি তখন জিল্লুর রহমানকে নিয়ে দলকে দুঃসময় পার করিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আশরাফ শুধু আমার সহকর্মী ছিলেন না বরং আমার ভাই ছিলেন। পরিবারের সদস্য ছিলেন। তার বাবা ও আমার বাবাসহ জাতীয় চার নেতারা একসঙ্গে ইন্তেকাল করেছেন। তাই যখনই তার সঙ্গে আমার দেখা হতো বা কথা হতো আমাদের সম্পর্কের আবেগ প্রকাশ পেতো।
সকাল ১০ টা ৩৪ মিনিটে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয় মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানী সৈয়দ আশরাফকে। এরপর একে একে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর দলীয় কর্মীদের নিয়ে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সংসদ ভবন প্লাজায় জানাজা শেষে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হবে নিজ জেলা কিশোরগঞ্জে।
বেলা ১২টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাঁহ ময়দানে সম্পন্ন হবে মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা। তার তৃতীয় জানাজা হবে দুপুর ২টায় ময়মনসিংহের আঞ্জুমান ঈদগাঁহ মাঠে। সেখান থেকে ফের ঢাকায় এনে বাদ আসর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে সৈয়দ আশরাফকে।