বিএনপি চেয়ারপার্সন কারাবন্দী খালেদা জিয়ার সঙ্গে তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আত্মীয়–স্বজনসহ কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
দেখা করার জন্য বারবার আবেদন করার পরও কারা কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রায় ২১ দিন চলে গেলেও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার নিকটাত্মীয়দের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। বন্দীদের যে আইনসম্মত অধিকার তা থেকেও তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
রিজভী অভিযোগ করে আরো বলেন, বেগম জিয়ার একান্ত সচিব আত্মীয়স্বজন ও দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা সাক্ষাতের জন্য বারবার আবেদন করার পরেও কারা কর্তৃপক্ষ তাতে কোনো কর্ণপাতই করেনি। কারাবিধি অনুযায়ী ৭ দিন পর পর বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাতের নিয়ম। অথচ খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে এই বিধান করা হলো ১৫ দিন পর পর। এখন সেই ১৫ দিনের বিধানকেও সরকারের নির্দেশে কারাকর্তৃপক্ষ অগ্রাহ্য করছে।
সংসদ নির্বাচনের পর দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, গত পরশু (শনিবার) ‘মিথ্যে মামলায়’ হাজিরা দিতে গেলে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি জালাল আহমদসহ ১৪ জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে ১২০০ জনের বিরুদ্ধে আবারও চারটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মানুষের ভোটাধিকার হরণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ন্যক্কারজনক ভূমিকায় দেশবাসী হতবাক ও ক্ষুব্ধ, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন জনগণের ললাটে এক বিষাক্ত কাঁটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোটের পূর্বাপর ব্যাপক সহিংসতা, ধানের শীষের প্রার্থীদের অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা, নেতাকর্মী-সমর্থকদের ওপর নির্বিচারে আক্রমণ করে রক্তাক্ত করায় শুধু দেশবাসীই নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও ক্ষুব্ধ ও প্রতিবাদে সোচ্চার।