স্থগিত গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না ঐক্যফ্রন্টের বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক। দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেন বিএনপির এই প্রার্থী। এর আগে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।
ডা. মইনুল হাসান সাদিক অভিযোগ করে বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হয়ে থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের সহায়তায় সরকার ভোট ডাকাতি, ভোটকেন্দ্র দখল, ব্যালটবাক্স আগের রাতেই ভর্তির মহাউৎসব ঘটেছে। এ কারণে এ আসনেও নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি।’
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পাশাপাশি নির্বাচন বাতিল ও পুনঃনির্বাচনের দাবিও জানান বিএনপির এই প্রার্থী। এ সময় জেলা ও সাদুল্যাপুর উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২৭ জানুয়ারি এ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে গত ২ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে ঐক্যফ্রন্টের বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ডা. মইনুল হাসান সাদিক।
এর আগে ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকে এ আসনে প্রার্থী ছিলেন ড. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী। তিনি গত ২০ ডিসেম্বর মারা গেলে ভোটগ্রহণ স্থগিত করে পুনঃ তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এ আসনে বৈধ প্রার্থী ছিলেন আটজন। ডা. সাদিক মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় প্রার্থী থাকলে সাতজন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের বর্তমান এমপি ডা. ইউনুস আলী সরকার, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার শিল্পী, জাসদের এসএম খাদেমুল ইসলাম খুদি, ইসলামী আন্দোলনের হানিফ দেওয়ান, বাসদের (খালেকুজ্জামান) সাদেকুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মিজানুর রহমান তিতু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাফর মো. জাহিদ।