দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এশিয়া ও প্রশান্ত মাহসাগরীয় রিজিওনাল কনসালটিভ গ্রুপের চতুর্থ সেশনের উদ্বোধনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিনিয়োগ, দুর্যোগের পূর্বাভাস, উদ্ধার, আশ্রয়ণ ও পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ আজ এগিয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিশ্বে স্বীকৃতিও মিলেছে।’
তিনি বলেন, ‘ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ঝুঁকি রোধে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এই প্ল্যানের সঠিক বাস্তবায়নে দুর্যোগে প্রাণহানিসহ সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় আরও কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ত্রাণ মন্ত্রণালয় অবদান রেখেছে। মন্ত্রণালয়ের সঠিক কর্ম পরিকল্পনার কারণে সম্প্রতি বিভিন্ন দুর্যোগ সফলভাবে মোকাবিলা করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দুর্যোগ মোকাবিলার অংশ হিসেবে কেবল প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয় মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকবিলাতেও সরকার কাজ করছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থাগুলোকে আধুনিক করা হচ্ছে। প্রযুক্তিগতভাবে স্বাবলম্বী হতে বিভিন্ন আধুনিক সরঞ্জামও সংগ্রহ করা হচ্ছে।’ এ কাজে প্রতিবেশি ও বন্ধু রাষ্ট্রগুলোকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
মানবিক সহায়তার কাজে স্বেচ্ছাসেবক ও বুদ্ধিজীবীদের এক করে ভালো ফল লাভের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দুর্যোগে স্বেচ্ছাসেবকরা যেভাবে কাজ করেন, তাতে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির পরিমাণ অনেক কমে এসেছে।’ এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শও কাজে আসছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি কমাতে অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া এশিয়া ও প্রশান্ত মাহসাগরীয় দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক জ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সহায়তা বিনিময়ের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দুর্যোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব না। তবে ক্ষতি হ্রাস করা যায়। ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় প্রতিবেশি দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ থাকা দরকার।’
মানবিক কাজে প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলো একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১১ লাখের মতো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবিক সহায়তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’