বাসে পেট্রোল বোমা চালিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১১ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার কার্যক্রমের উপর হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় আজ বুধবার ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস মোহাম্মদ আলী নতুন দিন ধার্য করেন।
পুরান ঢাকার বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। মামলাটির প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কারাগারে রয়েছেন।
মামলায় ২০১৫ সালের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। একই ঘটনায় হত্যা এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের আরও ২টি চার্জশিট দাখিল হয়েছে। ডিবি পুলিশের এসআই বশির আহমেদ চার্জশিটগুলো দাখিল করেন।
চার্জশিটে খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি হিসেবে ১ নম্বর রাখা হয়েছে। এতে উল্লেখযোগ্য অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ার, সালাউদ্দিন আহমেদ, খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, চেয়ারপারসনের তথ্য উপদেষ্টা শওকত মাহমুদ, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, খালেদা জিয়ার প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ, বরকত উল্লাহ বুলু, আমান উল্লাহ আমান, বিএনপির ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, কাইয়্যুম কমিশনার, লতিফ কমিশনার, মীর আবু জাফর শামসুদ্দিন দিদার, যাত্রবাড়ী এলাকার সাবেক এমপি সালাউদ্দিন আহমেদ, তার ছেলে তানভীর আহমেদ রবিন, নবী উল্লাহ নবী, সেলিম ভূইয়া।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাত ৯টায় যাত্রাবাড়ীর ডেমরা রোডের মাতুয়াইল কাউন্সিলর অফিসের সামনে গ্লোরি পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রোলবোমা হামলায় দগ্ধ হন কমপক্ষে ৩১ জন। যাদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসারত অবস্থায় নূর আলম নামে একজন মারা যান। ঘটনার পর পরিকল্পনাকারী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় ১৮ জন নেতাসহ যাত্রাবাড়ীর ছাত্রদল, শ্রমিকদলসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ৫০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলাটি করা হয়েছিল। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাম এজাহারে আসামির তালিকায় উল্লেখ করা না থাকলেও এজাহারের বক্তব্যের মধ্যে হুকুমদাতা হিসেবে তার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল।