বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দিয়েছেন। পুরান ঢাকার বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অবস্থিত ঢাকার ২ নম্বর বিশেষ জজ এএইচএম রুহুল ইমরান আদালতে আজ বৃহস্পতিবার এ মামলার চার্জ গঠনের দিন ধার্য ছিল।
কিন্তু মামলার প্রধান অভিযুক্ত খালেদা জিয়া অন্য মামলায় কারাগারে থাকায় আদালতকে অবহিত করে আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া তার পক্ষে হাজিরা প্রদান করেন।
অন্যদিকে এদিন মামলার দুই আসামি মো. আমিনুল হক ও এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরীর পক্ষে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ থাকায় সময়ের আবেদন করেন আইনজীবীরা। এ সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি পিছিয়ে দিন ধার্য করেন আদালত।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মামলার চার্জশিটভুক্ত মোট আসামি ছিল ১৬ জন। কিন্তু জামায়াত নেতা সাবেক শিল্পমন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হওয়ায়, বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নান ভূইয়া এবং সাইফুর রহমান, এমকে আনোয়ার ও এম শামসুল ইসলাম মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামির সংখ্যা ১০ জন।
আসামিরা হলেন-বেগম খালেদা জিয়া, ব্যারিস্টার আমিনুল হক, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, একেএম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এসআর ওসমানী, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মইনুল আহসান, বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি ব্যবস্থাপনার নিয়োজিত ঠিকাদর সুজু কোল মাইনিং গ্রুপ কনসোর্টিয়ামের পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম ও হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সময় ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম।
কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে (সিএমসি) বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করায় সরকারের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। একই বছরের ৫ অক্টোবর আদালতে এ মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়।