একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি কেন গিয়েছিল, তার কারণ জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটি সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটশন মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।
‘গণতন্ত্রের মা বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং দেশব্যাপী বিএনপির বন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে’ বিএনপি ওই প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘দুটি কারণে আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম, আশা ছিল মানুষ ভোট দিতে পারলে আমরা জয়ী হবো। আর সেদিন আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে বাধ্য হবে। আন্দোলনের অংশ হিসেবে নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কিন্ত কিছুই করতে পারিনি। আন্দোলন করতে হলে সংগঠন লাগে। গত ১০ বছর অনেক কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কি দেখলাম, মনে হয় কিছুই করা হয়নি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের একটি দাবিও মানা হয়নি। তারপরও কেন নির্বাচনে গিয়েছিলাম। কারণ ৭৮ হাজার মামলা দেওয়া হয়েছে। নেতাকর্মীরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা স্বাভাবিকক রাজনীতে আসতে পারবে।’
গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপির প্রার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে মওদুদ বলেন, প্রার্থীদের উচিত হবে, যারা মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ছে তাদের পাশে দাঁড়ানো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটি এই সদস্য বলেন, ‘খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে দলকে পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন করতে হবে। তাহলেই কেবল আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করে আনতে পারব। তৃণমূল থেকে দল পুনর্গঠন কতে হবে। যারা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য সংগ্রাম করেছে তাদের ওপরে জায়গা দিতে হবে। দল পুনর্গঠন করতে হবে।’
মওদুদ আহমদ বলেন, ‘একটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন মামলায় সরকারের কূট-কৌশলে তাকে (খালেদা জিয়া) শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তাকে ৫ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে রেওয়াজ অনুযায়ী এ মামলার আপিলের ফাইল সাবমিট করলেই তা মঞ্জুর হয়ে যায়। আশা করেছিলাম, সাত দিনের মধ্যে জামিনে মু্ক্ত হয়ে যাবেন। কিন্ত সময় পিছিয়ে পরবর্তিতে জামিন আনার দুটি মানহানি মামলা দেয় এই সরকার।’