কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজপথের আন্দোলন ছাড়া মুক্ত করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করে ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বিএনপি নেতাকর্মীদের রাজপথে নামার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজপথে নামেন। ভ্যান-ট্রাক নিয়ে মিছিল করেন। শোডাউন দিন। রাস্তায় বসে মোনাজাত ধরেন। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের ভেতরে বসে হাতি-ঘোড়া মারলে খালেদা জিয়ার মুক্তি আসবে না।’
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার পরিষদের আয়োজনে এই মানববন্ধন হয়।
জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আগামীতে প্রত্যেক দিন মিছিল করেন। রাস্তায় থাকেন। ব্যারিস্টার মওদুদ-মোশাররফ হোসেন রাস্তায় আসেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি আজকে যদি চায়, আজ বিকেলে এখানে ১ হাজার মহিলার জমায়েত হতে পারে। সবাই রাস্তায় বসে থাকেন। এর পরও কিছু না হলে রাস্তায় বসে খোদার কাছে মোনাজাত ধরেন। একদিন বিএনপি। আরেকদিন ছাত্রদল, তার পর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল-এভাবে টানা ১৭দিন মাঠে থাকেন। খালেদা জিয়ার মুক্তি অবশ্যই হবে।’
তারেক রহমানের সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আপনি লন্ডনে বসে স্কাইপিতে কথা বলবেন ঠিক আছে। তবে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বসেন। তা না হলে ভুল ভ্রান্তি হবে। আপনি ভবিষ্যতের প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীদের ধৈর্য ধরতে হবে। রিজভীর মাধ্যমে মিটিং না করে সিনিয়র নেতাদের ডাকেন। আপনি আরেকজন রিজভী হয়ে যাবেন না।’
ঐক্যফ্রন্ট করে বিএনপি লাভবান হয়েছে বলেও মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘ঐক্যফ্রন্ট বিএনপিকে নতুন জীবন দিয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট না হলে তারা রাস্তায় বের হতো পারতো না। ড. কামাল হোসেন সব ধরনের চেষ্টা করেছেন। তবে শেখ হাসিনা কথার বরখেলাপ করেছেন। তিনি কোনো কথা রাখেননি। হাসিনাকে বিশ্বাস করেছিলাম আমরা। ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন গিয়ে ২০১৪ সালে খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্ত যে সত্য ছিল তা প্রমাণিত হয়েছে। এটাতে বিএনপি লাভবান হয়েছে।’
এ সময় বিএনপিকে ভারত থেকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ভারত একটি আজব দেশ। যেখানে দুধের চেয়ে গো-মুতের মূল্য বেশি!