সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানো শুধু দেশে নয়, বিদেশে অবস্থান করেও অন্যের বিরুদ্ধে লেখা ও গুজব রটানো সম্ভব। এটি এখন বৈশ্বিকভাবে নিয়ম-নীতির মধ্যে আনার সময়ে এসেছে। শুধু বাংলাদেশের চিন্তার বিষয় নয়, অন্যান্য দেশের জন্যও চিন্তার কারণ। বললেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ শনিবার রাজধানীর কসমস সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন প্রায় আট কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। অবাধ এই ইন্টারনেটের যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপব্যবহারও বেড়েছে। অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অসম্পাদিত সংবাদ বাড়ার ফলে এখন সাংবাদিকদের আরও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে দেশে গণমাধ্যমের বিস্তৃতি ঘটেছে। এর সাথে পাল্লা দিয়ে মিথ্যা সংবাদও বেড়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেরও বিপ্লব ঘটেছে।
ড. হাছান সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্বে থাকলে ভুল হতে পারে। দায়িত্বে না থাকলে ভুল হওয়ার প্রশ্নই আসে না। আপনারা ভুলের গঠনমূলক সমালোচনা করেন। গঠনমূলক সমলোচনা কাজকে শাণিত করে। কিন্তু সমালোচনা অন্ধ হলে আমাদের হতাশ করে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। আমরা নবম মজুরি বোর্ড (ওয়েজবোর্ড) নিয়ে কাজ করছি। গণমাধ্যম নীতিমালা তৈরি হয়েছে। এটাকে আইনে পরিণত করতে হবে।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সাথে দায়িত্বশীলতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র, সমাজ ও দেশের কল্যাণে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও দায়িত্বশীলতা এক সঙ্গে থাকতে হবে।