ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির পথে সরকার বাধা হবে না বলে ক্ষমতাসীন দল ও সরকারের প্রতি বিশ্বাস রাখতে চায় বিএনপি।
সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ চন্দ্রিমা (জিয়া) উদ্যানে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এ কথা বলেন। এর আগে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের নবগঠিত কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের নিয়ে শহীদ জিয়ার সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহাবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এখনো সহাবস্থান নাই। তবে সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির পথে তারা বাধা হবে না। আমরা তাদের বিশ্বাস করতে চাই এবং আমরা চাইবো যে, আমাদের ছাত্রসমাজের সংগঠনগুলো যাতে তাদের মতপ্রকাশ ও নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। আর ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে। আর তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ডাকসু নির্বাচনে নির্বাচিত করতে পারে।’
ডাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে যেমন বিএনপিকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করতে দেয়া হচ্ছে না, আমাদের নেতাকর্মীরা যেমন তাদের ঘর-বাড়িতে থাকতে পারছে না। তেমনি এদেশের ছাত্র সমাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলোতে যেতে পারে না। আমরা যারা বিরোধী দল করে তাদেরকেই নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে, খুন ও গুম করা হয়েছে। এরকম একটা জটিল পরিস্থিতিতে আমাদের বহু প্রতিক্ষিত ডাকসু নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা বলেছি, ডাকসু নির্বাচন যাতে জাতীয় ও স্থায়ী সরকার ভোটের মতো না হয়- এটিই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষ সরকারের নিয়োজিত। ফলে দুশ্চিন্তার কারণ আছে। কিন্তু আমরা আশা করবো, যে ছাত্রসমাজ আমাদেরকে যুগে যুগে পথ দেখিয়েছে- তাদের সাহসী ভূমিকা দিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের সূচনা করেছে, সেই ছাত্রসমাজ তাদের প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, যারা গণতন্ত্র চায় আর যারা গণতন্ত্র চায় না, যারা গণতন্ত্র জবাই করে আর যারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে— এই লড়াইটা হবে মূলত তাদের মধ্যে। সেই লড়াইয়ে গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি বিজয়ী হবে বলে আমরা আশা করি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সরকার বাধ্য করবে বলেও মন্তব্য করেন নজরুল ইসলাম খান।
এসময় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ড্যাবের আহ্বায়ক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সদস্য সচিব ডা. মো. ওবায়দুল কবির খান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, কৃষকদলের সহ-দফতর সম্পাদক এসকে সাদী, কেন্দ্রীয় নেতা মাইনুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।