স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, আপনারা যারা ইয়াবা সেবন করেন, যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের ঘরে বউ থাকবে না। যে সকল বোনেরা ইয়াবা সেবন ও ব্যবসার সাথে জড়িত তাদের স্বামী থাকবে না। আপনারা আল্লাহর কাছে মাফ চান। ভালো হয়ে যান। আমি আর খোলামেলা কথা বললাম না।
শনিবার কক্সবাজারের টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ২৯ জন গডফাদারসহ ১০২ জন তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেন। এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ সময় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ৩ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৩০টি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ৭০ রাউন্ড তাজা কার্তুজও জমা দেন। আত্মসমর্পণের পর তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনাদের ইয়াবা ব্যবসা করতে হবে কেন? কক্সবাজার হবে বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যবসাসফল এলাকা। আপনাদের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসার সুযোগ রয়েছে। অথচ আপনারা জড়িয়ে পড়েছেন ইয়াবা ব্যবসায়, যা অপরাধ। আপনারা সমাজের ক্ষতি করছেন, রাষ্ট্রের ক্ষতি করছেন, আপনার সন্তান, পরিবার সবকিছু ধ্বংস করছেন।
অনুষ্ঠানে নারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা চাইলে আপনার স্বামীকে অপরাধের পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি। তারা অপরাধে জড়িয়েছে তাদের সঙ্গে সঙ্গে আপনারাও এর সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। তবে আপনারা আপনাদের ভুল বুঝতে পেরে আত্মসমর্পণ করেছেন, তার জন্য প্রশাসন ও সরকারের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ, সাধুবাদ জানাই। আশা করি আপনারা এখন থেকে ভালোভাবে জীবন যাপন করবেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ইয়াবা কারবারিরা যত বড় শক্তিশালীই হোক তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। যারা এখনও আত্মসমর্পণ করেননি তারা দ্রুত আইনের কাছে আত্মসমর্পণ করুন। মাদকের ব্যাপারে কাউকে ছাড় নয়। আগে দেশ বাঁচাতে হবে। সীমান্ত দিয়ে কোনো মাদক ও অবৈধ নাগরিক যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। এজন্য বিজিবিকেই দায়িত্ব পালন করতে হবে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, সংসদ সদস্য শাহীন আক্তার, জাফর আলম, আশেক উল্লাহ রফিক, সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।