সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গনে আইনজীবীদের মিলনায়তনে আগামী শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গণশুনানীর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
মঙ্গলবার(১৯ ফেব্রয়ারি) বিকেলে স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের পর ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গণশুনানি ছিলো ২৪ তারিখ।এটি আগামী ২২ তারিখ শুক্রবার হবে। সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে এই গণশুনানি সকাল ১০টায় শুরু হবে এবং বিকাল ৪/৫টা পর্যন্ত চলবে। এটাই আজকের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
গণশুনানি কেনো দুইদিন এগিয়ে আনা হলো এমন প্রশ্ন করা হলে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘কোথাও জায়গা পাওয়া যাচ্ছিলো না। যেহেতু আমরা আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনটি পেয়েছি ২২ তারিখ। সেজন্য গণশুনানির তারিখ এগিয়ে আনা হয়েছে।’
এই গণশুনানীর থেকে ঐক্যফ্রন্ট কী অর্জন করবে জানতে চাইলে সু্প্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সা্বেক সভাপতি ড. কামাল বলেন, ‘সংবিধানে লেখা আছে, জনগন ক্ষমতার মালিক। সেদিন জনগন জানতে পারবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কী ঘটেছিলো, তার বাস্তব অভিজ্ঞতা প্রার্থীরা তুলে ধরবেন।’
এই গণশুনানিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল বিএনপি, জেএসডি, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ঐক্য ছাড়াও বাম ও গণতান্ত্রিক যেসব দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে বলে জানান জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
নিবন্ধন বাতিল হওয়া সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর ২২ জন প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছে তাদেরকে এই গণশুনানি আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা এরকম প্রশ্ন ড. কামাল হোসেন প্রতি রাখলে তিনি বলেন, ‘এগুলো আমার জানা নেই।’
তবে রব বলেন, ‘স্যার যেটা বলেছেনন ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে সকল প্রার্থী, প্লাস বাইরে বাম ঐক্যজোটসহ প্রগতিশীল দলের যারা অংশগ্রহণ করেছেন তাদের দাওয়াত দেয়া হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে যদি অন্য কোনো দল থাকে, ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে যেসব দল আছে তাদের এবং বাম গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল যেসব দল আছে তাদেরকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।’
তবে এ বিষয়ে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু বলেন, ‘নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টে জামায়াত ছিলো না।’
এ সময়ে গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘আপনারা তো উদ্দেশ্যমূলক প্রশ্ন করেন। বলা হলো তো জামায়াতে ইসলামী ছিলো না।’
সরকার বিরোধী ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন হাত পাখা নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো তাদেরকে গণশুনানিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে কিনা প্রশ্ন করা হলে আসম আবদুর রব বলেন, ‘এটা বিবেচনা করে দেখা হবে।’
বিকেল সাড়ে ৪টায় থেকে দেড় ঘন্টাব্যাপী এই বৈঠকটি মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে অনুষ্ঠিত হয়। ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আবদুস সালাম, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, জগলুল হায়দার আফ্রিক, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের হাবিবুর রহমান তালুকদার খোকা, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, শহিদুল্লাহ কায়সার, বিকল্পধারার অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।