পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল সরানোর ব্যাপারে কোনো ছাড় না দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম। মঙ্গলবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে আহতদের দেখতে এসে এ আহ্বান জানান তিনি।
নাসিম বলেন, ‘গতকাল দেখলাম সিটি করপোরেশন সকল সংস্থার লোকজন নিয়ে মিটিং করেছে। সেখানে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, পুরান ঢাকা থেকে কেমিক্যাল গোডাউন নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে সরিয়ে নিয়ে যাবে। এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত। তবে এটা যেন বাস্তবায়ন হয়। এ ব্যাপারে কোন ছাড় দেবেন না। ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই সরে যেতে হবে।’
চকবাজারের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে সরকারের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘চকবাজারের ঘটনায় পুরো জাতি শোকাহত। এ ঘটনায় রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক পালন করা হয়েছে। এটি একটি দুঃখজনক ঘটনা। আর এ ঘটনায় অতীতের কথা আলোচনা করে লাভ নেই। দোষারোপ করেও লাভ নেই।
নাসিম বলেন, ‘মানুষকে যদি বাঁচাতে হয়, তবে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করা উচিত। এ ব্যাপারে সবার আন্তরিকতা দরকার। এ ঘটনা থেকে আমরা যে সবাই সতর্ক হয়ে যাই। আমরা আর কাউকে হারাতে চাই না। এই মর্মান্তিক সময়ে কেউ কাউকে দোষারোপ না করে, কেমিক্যাল সরানো উচিত।’
চকবাজারের ঘটনা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন শরিক জোটের সাবেক দুই শিল্পমন্ত্রী একে অপরকে বিরুদ্ধে কথা বলছে, এতে ১৪ দলে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এতে ১৪ দলে কোনো প্রভাব পড়বে না। ১৪ দল যেভাবে আছে, সেভাবেই থাকবে। তবে সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া যে কথা বলেছেন তা সঠিক নয়। তার এ ধরনের কথা বলা ঠিক হয়নি। আমির হোসেন আমু একজন সিনিয়র লিডার। তিনি যখন দায়িত্বে ছিলেন, তার আন্তরিকতায় ট্যানারি শিল্প সেখান থেকে সরানো হয়েছে। তিনি পুনরায় দায়িত্ব পেলে কেমিক্যাল গোডাউনও সরিয়ে নিতেন।’
এসময় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, ঢাকা-৭ আসনে সাংসদ হাজী মোহাম্মদ সেলিম, ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।