বাংলাদেশকে অবহেলা করার সুযোগ যুক্তরাষ্ট্রের আর নেই বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে জানিয়েছে দেশটির হাউজ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি। মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এসব কথা জানায় এশিয়া-প্যাসিফিক বিষয়ক আন্তর্জাতিক ম্যাগাজিন দ্য ডিপ্লোম্যাট।
এতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের সুনজর পাওয়া উচিত ছিল এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম কিন্তু দেশটি তা পায়নি। গত বছর সাধারণ নির্বাচনে জয়ের পর শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী নেতাদের একজনে পরিণত হয়েছেন।
আরও বলা হয়, টানা তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পরও তাকে সুনজরে দেখেনি ওয়াশিংটন। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানির প্রধান উৎস হতে এবং আমেরিকান চাকরি ‘চুরি করতে’ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেনি।
কিন্তু অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন, সন্ত্রাসবাদ দমন এবং অবর্ণনীয় নৃশংসতার হাত থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদেরকে সুরক্ষায় বাংলাদেশের সফলতা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিনির্ধারকদেরকে বাংলাদেশ সংক্রান্ত নীতি পুনর্বিবেচনা করতে উৎসাহিত করছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনটিতে।
ম্যাগাজিনটি জানায়, সম্ভবত কিছু পরিবর্তনের কাজ চলছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে আমেরিকার ‘বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ শুরুর মাধ্যমে [এশিয়ার] গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দেয়া অব্যাহত প্রতিশ্রুতি ও এগুলোর সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক’ বজায় রাখার আহ্বান জানায়।
আরও জানায়, এই কমিটির চেয়ারম্যান রেপ্রেজেন্টেটিভ এলিয়ট এংগেল এবং তার পাঁচ সহকর্মী চিঠিটিতে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দুর্বল ও হইচইপূর্ণ গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে পরিচিত একটি দেশের গণতন্ত্রের গতিপথ নেতিবাচক দিকে যেতে পারে।