নির্বাচনে ভরাডুবির পর বিএনপি এখন সংবাদ সম্মেলনের রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ আয়োজিত জাতির পিতার ৯৯তম জন্মদিন ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস ও ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের এক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ছাত্রদের রাজনীতি ছাত্রদের হাতেই থাকতে দিন। ছাত্র রাজনীতিকে জাতীয় রাজনীতিতে এনে জলঘোলা করার অপচেষ্টা করবেন না। বরং ডাকসু নির্বাচনে আপনাদের ছাত্রদল কেনো হারলো, সেজন্য তদন্ত কমিটি গঠন করুন। ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল হারিয়ে গেছে। ডান-বাম এমনকি অতি ডান-অতি বাম মিলেও ছাত্রলীগকে হারাতে পারেনি।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রায় তিরিশ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানই সবচেয়ে ইতিবাচক দিক। ছাত্রদের আবার সুস্থ রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার বাস্তব পদক্ষেপ হচ্ছে ডাকসুর নির্বাচন।’
আওয়ামী লীগের এ মুখপাত্র বক্তব্যে জাতির পিতাকে পরম শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিকে উজ্জীবিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়েছেন। বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে সুসংহত করে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে চলছিলেন, তখনই যারা দেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা তাকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এখনও তারাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবাক করা উন্নয়ন সহ্য করতে পারছে না।’
‘বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে থাকতেন, বাংলাদেশ আজ মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ার চেয়েও উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতো’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ জিডিপি’তে বিশ্বের ৪৩ তম দেশ, ক্রয়ক্ষমতা সূচক বা পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটিতে বিশ্বের ৩১তম দেশ এবং আমাদের মাথাপিছু আয় ১৭৫২ ডলার আর পাকিস্তানের ১৬৪০, আমাদের রফতানি বছরে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার আর পাকিস্তানের ২৪ বিলিয়ন। আমাদের গড় আয়ু ৭২.৮ বছর আর পাকিস্তান ও ভারতের প্রায় ৬৮ ও ৬৯। অর্থাৎ সব সূচকেই বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে এগিয়ে। আর এ কারণেই, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যখন দেশকে সুইডেন বানাবার কথা বলেন, তখন সংসদ সদস্যরা তাকে ১০ বছরের মধ্যে পাকিস্তানকে বাংলাদেশের মতো বানাবার পরামর্শ দেয়। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার বাবার দেশ কেনিয়ায় গিয়ে বলেন, আফ্রিকার দেশগুলোর বাংলাদেশ থেকে অনেক শেখার আছে। ভারতের গ্রাম উন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশের লেখা নিবন্ধে আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতির উত্থান স্থান পায়।’
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আয়োজক সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগ ঢাকা দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক জনকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায় ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ এর সভাপতি এ কে এম এ হামিদ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী পরিষদ সভাপতি মো. খবির হোসেন ।