আন্দোলন করে নয়, আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে রাজশাহীতে স্থানীয় আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘রাজপথে লড়াই ও রক্ত ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তি সম্ভব নয়’- গত ২২ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে দেয়া এক বক্তব্যে এমন দাবি করেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু।
এর একদিন পরই গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গণতন্ত্র চিরস্থায়ীভাবে দেশ থেকে বিদায় করে দেয়ার লক্ষ্যেই বারবার যিনি গণতন্ত্রকে স্বৈরাচারের বন্দীশালা থেকে মুক্ত করেছেন সেই আপসহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার আওয়াজ তুলতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির মামলায় আদালতের রায়ে বেগম জিয়া কারাভোগ করছেন। এখানে সরকারের কোনও হাত নেই। আর খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়ায় আদালতই পারে মুক্তি দিতে। এখানে আন্দোলন করে কোনও লাভ নেই।’
দেশে এখন আর প্রতিহিংসার রাজনীতি হয় না উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে, যা বিএনপি কখনোই পারেনি।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজশাহীতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চের প্রয়োজনীয়তা থাকলে তা অবশ্যই স্থাপন করা হবে।’
এদিন রাজশাহীর আদালত চত্বরে অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের বহুতল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
এ সময় আইনজীবীদের দাবির প্রেক্ষিতে ভবন নির্মাণে বরাদ্দ পাওয়া মাত্রই তিন কোটি টাকা দেয়াসহ বার ভবনে গ্রন্থাগার স্থাপনের জন্য আগামী ৭ দিনের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন আইনমন্ত্রী।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন- রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, রাজশাহী-২ (সদর) আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা, রাজশাহী জেলা ও দায়রা জজ মীর শফিকুল আলম, রাজশাহী অ্যাডভোকেট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লোকমান আলী, সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক প্রমুখ।