শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও নাজেহাল করার ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. আখতারুজ্জামান।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, ‘দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তও করা হচ্ছে। যে কোনো সংকট আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধান করতে হবে। একটি ঘটনা যেনো আরেকটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্ম না দেয়। সবার সহযোগিতা চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ব্যবস্থা নিতে হয়, আমরা সেটাই করেছি। এসএমের হলের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের কাজও শুরু হয়েছে। যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটিয়ে পরিস্থিতি নষ্ট না করে সেদিকে আমাদের সতর্ক দৃষ্টি থাকতে হবে।’
অন্যদিকে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘সোমবারের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
আজ বুধবার সকাল পৌনে ১০টার কিছু আগে ভিপি নুরুল হক নুর ও সাধারণ শিক্ষার্থী পরিষদ অধিকারের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাবি উপাচার্য। বৈঠকে উপাচার্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ঢাবির উর্দু বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফরিদ হাসানকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগপত্র দিতে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে যান ভিপি নুরুল হক নুর, সমাজসেবা সম্পাদক আকতার হোসেন, শামসুন্নাহার হলের ভিপি শেখ তাসনীম আফরোজ ইমি, ছাত্র ফেডারেশনের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজির, অরণি সেমন্তি খানসহ কয়েকজন।
তবে নুরসহ ছাত্রনেতারা সলিমুল্লাহ হলের ভেতরে গেলে সেখানে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয় ও অবরুদ্ধ করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর হলটির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের অন্য নেতাদের আপত্তিকর মন্তব্যের শিকার ও তাদের হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেন সেমন্তি, ইমি ও বেনজির। এ সময় তাদের গায়ে ডিমও ছুড়ে মারা হয়েছে বলে দাবি তাদের।
এ ঘটনায় গতকাল রাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।