প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার কাছে তিনটি অনুরোধ করেছেন সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। আজ বুধবার সকালে মিরসরাইয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের অনুষ্ঠানে তিনি এ অনুরোধ জানান।
এদিন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরসহ ১১টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধন ও ১৩টির অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ছাড়াও অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ১৬টি বাণিজ্যিক শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন ও ২০টি শিল্প কারখানার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। এ সময় আরও পাঁচটি চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুরোধগুলো হলো-‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে’ স্থানীয়দের চাকরি, নতুন জমি অধিগ্রহণের সময় গ্রাম বাদ দেওয়া ও ডিসি অফিসে না নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে এসে ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
অনুষ্ঠানে মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা গর্বিত বঙ্গবন্ধুর নামে এ শিল্পনগর হয়েছে। আশ্চর্য হয়েছি, দুই বছরে চরাঞ্চলের চেহারা পাল্টে গেছে। আমি চাই ৭০০ একর জমিতে ১ হাজার মানুষের ক্ষতিপূরণ হয়ে যাক। ৬৫০ একর ফসলী জমি অধিগ্রহণের সময় গ্রাম বাদ দিতে হবে। ডিসি অফিসে না নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের এখানে এসে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার অনুরোধ জানাই। বিশেষ অনুরোধ-মিরসরাইয়ের স্থানীয়দের চাকরি দেওয়া।’
পরে তার বক্তব্যের সূত্র ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘মোশাররফ ভাই, আপনি মিরসরাইয়ে ইকোনমিক জোন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। যারা জমি দিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা যেন কাজ পায়। শিল্পের জন্য নতুন করে ফসলি জমি নেওয়া যাবে না। যা নেওয়া হয়েছে যথেষ্ট। আগে সেখানে শিল্প কারখানায় ভরে যাক।’
প্রকল্পগুলোর উদ্বোধনের সময় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও বসুন্ধরা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. ফখরুদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মিরসরাইয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য (এমপি) ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান, জেলা পুলিশ সুপার নুরে আলম মিনা, বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান তাজবীর, চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিজিএমইএ-এর সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।