আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘আমাদের দেশে প্রতিটি বিষয় নিয়ে রাজনীতি করা হয়। আমাদেরকে এ মানুষিকতা থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ডেডিকেটেড। নিজেদের জীবন বাজি রেখে আগুন আটকে পড়া মানুষকে বাঁচানোর ঝুঁকি নেয়। এটা বিদেশে তেমন দেখা যায় না। কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান মো. সোহেল রানা এ নজির দেখিয়েছেন।
সোমবার (৮ এপ্রিল) ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ ( আইইবি) কাউন্সিল হলে ‘ভবনের কর্মদক্ষতা ভিত্তিক অগ্নি সুরক্ষা : বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি এ সেমিনারের আয়োজন করে।
হানিফ বলেন, এফআর টাওয়ারের আগুনের প্রাণহানি মানুষ চোখের সামনে দেখেছে। এফআর টাওয়ারের আগুন দেশের মানুষকে ঝাঁকি দিয়েছে। এই ঝাঁকি প্রয়োজন ছিলো। আমাদের মধ্যে দাগ কেটেছে। আজকের সেমিনার তাৎপর্যপূর্ণ।
দেশে বেশির ভাগ আগুন লাগার কারণ হিসেবে দেখা গেছে শর্টসার্কিট। শর্টসার্কিট থেকে বেশি আগুন লেগেছে। নিম্ন মানের সুইচ-তার ব্যবহারের কারণে এমনটি হয়। সরকারি ভবনগুলোতে সরকার কর্মকর্তাদের যোগসাজশে দুর্নীতি করে নিম্ন মানের জিনিস ব্যবহার করা হয়।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ফায়ার সেফটি ও ফায়ার সার্ভিস দুইটি আলাদা বিষয়। আমাদের আগুনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ভবনে যাতে আগুন না লাগে সে বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে। আমাদের বিল্ডিংগুলোকে সেই ভাবে তৈরি করতে হবে। বিল্ডিংয়ের ডিজাইন তৈরি করার ক্ষেত্রে সেফটির বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, দেশ আধুনিক হওয়ায় হাই-রাইজ বিল্ডিং হচ্ছে। এই সমস্ত ভবন যত বাড়ছে মানুষের কাজের সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে। দেশ উন্নত হওয়ার পাশাপাশি মানুষের জীবনের ঝুঁকিও বড়ছে। হাই-রাইজ ভবন হওয়ায় এটাই প্রমাণ করে দেশের অর্থনীতি দ্রুত অগ্রসর হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুরের সভাপতিত্বে ও সচিব প্রকৌশলী আবদুস সবুরকে সঞ্চালনায় সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর, বক্তৃতা করেন রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান নূরুল হুদা প্রমুখ।