প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,`বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। তাই যেসব দেশে আমাদের প্রবাসী আছে, সেসব দেশে তাদের প্রয়োজনীয় সেবা দিতে পর্যায়ক্রমে নিজস্ব ভবন বা চ্যান্সারি কমপ্লেক্স করা হবে।’
আজ মঙ্গলবার ব্রুনেই দারুস সালামের বন্দর সেরি বেগাওয়ানে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সারি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রবাসীদের সুখ-দুঃখ দেখা সরকারের দায়িত্ব। প্রবাসীরা তাদের কষ্টার্জিত অর্থ বাংলাদেশে পাঠান এবং দেশের অর্থনীতিতে তারা সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন।’
এসময় তাদের দেখভাল করতে যেসব দেশে প্রবাসীরা থাকেন, সেসব দেশে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের যাওয়ার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে মোমেন এবং ব্রুনেইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল মাহমুদ হোসাইনও বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী দেশটির রাজধানীর কূটনৈতিক জোনে নতুন নির্মিতব্য কমপ্লেক্সের ভিত্তিফলক উন্মোচন করেন। কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ শুরুর ১৮ মাসের মধ্যেই এটি শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
এর আগে গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ও ব্রুনাইয়ের মধ্যে কৃষি, মৎস্য, পশুসম্পদ, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি এবং এলএনজি সরবরাহ সংক্রান্ত মোট ৬টি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ব্রুনেইর সুলতান হাসানাল বলকিয়ার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ছয়টি চুক্তির এবং একটি বিনিময় নোট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এগুলো হচ্ছে, কৃষি ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক ও কারিগরি সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), মৎস্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক, পশুসম্পদ ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক, সাংস্কৃতিক ও শিল্প সহযোগিতা সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতার সমঝোতা স্মারক, এলএনজি সরবরাহে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক এবং কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসার ছাড় সংক্রান্ত বিনিময় নোট।